ডার্ক মোড
Wednesday, 14 May 2025
ePaper   
Logo
ফরিদপুর জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি-সম্পাদকের পদ শূন্য ঘোষণা, নতুন দায়িত্ব প্রদান

ফরিদপুর জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি-সম্পাদকের পদ শূন্য ঘোষণা, নতুন দায়িত্ব প্রদান

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি 

ফরিদপুরে ১৫ বছর আগে ঘোষিত জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আওয়ামী লীগে যোগদান করায় এবং সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুবরণ করায় প্রধান এ দুটি পদ শূণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে সভাপতি হিসেবে সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শামসুল হক সরদার ও সাধারন সম্পাদক পদে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মান্নান মানাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। দলটির সাংগঠনিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।

সোমবার দুপুরে  শহরের গোয়ালচামটস্থ জেলা শ্রমিক দলের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় দলটির বিভিন্ন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রবীণ শ্রমিক নেতা  সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া মো. শামসুল হক সরদার।

তিনি জানান, সর্বশেষ ২০১০ সালে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিশ্চুপ ছিলেন তাঁরা। এরমধ্যে  ২০১৮ সালে কমিটির সভাপতি শেখ মোজাফফর আলী মুসা আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। সাধারন সম্পাদক মো. অলিয়ার রহমানও আওয়ামীলীগে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে তিনি মারা যান। এছাড়া বিভিন্ন সময় ১৩ জন সদস্য মৃতু্যবরণ করেন। এমতাবস্থায় গত ৪ এপ্রিল দলটির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ২১ জন সদস্যের সম্মতিক্রমে এসব পদ শূণ্য ঘোষণা করে নতুন নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শামসুল হক সরদার এবং সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মান্নান মানা। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবগত করা হবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি হতে মোজাফফর আলী মুসার সভাপতি হিসেবে সকল কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া নতুন দায়িত্ব পাওয়া সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপজেলা এবং পৌর কমিটি নতুনভাবে গঠন করা হবে। যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১০ সালে কমিটি ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন সময় অনেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। এতে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। বিষয়টি একাধিকবার কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া আওয়ামী লীগের ভয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি।

এ সময় সংগঠনটির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, আ.ক.ম নুরুন্নবী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন মামুন, সহ সম্পাদক মো. রউফুল আলম লিমন, মো. জাহিদ হোসেন, মো. জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এ মজিদ সহ ২১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মহানগর কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহিদ হোসেন, সহ-সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান লিটু, কোতয়ালী থানা কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুস সাত্তার জোয়াদ্দার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন