ডার্ক মোড
Sunday, 05 May 2024
ePaper   
Logo
বিইউএইচএস-এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

বিইউএইচএস-এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস-এর প্রথম সমাবর্তন বৃহষ্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গেøাবাল হেলথ এন্ড সাসটেইনাবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক এন্থনি কসটেলো।

সমাবর্তনে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী দেয়া হয়। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী সাত শিক্ষার্থীকে সম্মানসূচক চ্যান্সেলর ও ভাইস-চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। সমাবর্তন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন এবং জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

বিইউএইচএস-এর প্রতিষ্ঠাতা সংগঠন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস)’র সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান এবং উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ফরিদুল আলম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ সহ পাঁচ শতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বিইউএইচএস জ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণা সমৃদ্ধ শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের পেশাগত জীবনে জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের আদর্শ অনুসরণ করার আহবান জানান। প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিইউএইচএস কর্মমূখী শিক্ষার মাধ্যমে মানব সম্পদ গঠনে কার্যকর অবদান রেখে চলেছে, গ্র্যাজুয়েটরা তার স্বাক্ষ্য বহন করে।

অধ্যাপক এন্থনি কসটেলো বলেন, বাডাস তথা বারডেম দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপণ করেছে, বিইউএইএচএস যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদান করে দেশের স্বাস্থ্যখাতকে সমৃদ্ধ করেছে। জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান মনে করেন, গ্র্যাজুয়েটরা বিইউএইচএস-এর মুল্যবোধ সমুন্নত রেখে নিজেদের অর্জিত জ্ঞান যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে পেশাগত জীবনে সফলতা অর্জন করবে। অধ্যাপক ফরিদুল আলম বলেন, গ্র্যাজুয়েটরা নিজেরা যেমন কাজ করবে, তেমনি কর্মদক্ষ মানুষও তৈরি করবে, কর্মের মাধ্যমে তারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করবে এবং বিইউএইচএস-এর ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখবে। তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে গ্র্যাজুয়েটদের অর্জিত জ্ঞান যথাযথভাবে প্রয়োগ করে কর্মক্ষেত্রে আত্ম নিয়োগ করার আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন গ্র্যাজুয়েটরা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সক্ষমতার পরিচয় দেবে এবং বঙ্গবন্ধুর কাংখিত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনে অবদান রাখবে। শিক্ষামন্ত্রী তার বাণীতে উল্লেখ করেছেন বিইউএইচএস কর্মমূখী একাডেমিক প্রোগ্রামে উচ্চ শিক্ষা প্রদান করে দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকে সমৃদ্ধ করছে।

বিইউএইচএস-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ-সহ ট্রেজারার, সকল অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, কন্ট্রোলার, প্রক্টর সহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সকাল ৮.৩০ টার সময় সমাবর্তন শুরু হয়। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসবমুূখর পরিবেশে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

বিইউএইচএস-এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন