ডার্ক মোড
Wednesday, 22 May 2024
ePaper   
Logo
কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌরভে সাজিয়ে আছে সড়কগুলো

কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌরভে সাজিয়ে আছে সড়কগুলো

এনামুল হক রাঙ্গা বগুড়া

বগুড়ায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। গ্রীষ্মের রুক্ষতা ছাড়িয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিজের সৌন্দর্য তুলে ধরছে। গাছের ডালপালা জুড়ে শুধুই কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ। এই ফুলের অপরুপ দৃশ্য যে কারও চোখে ও মনে এনে দিতে পারে শিল্পের দ্যোতনা। বগুড়া জেলার বিভিন্ন পথে-প্রান্তরে ও স্থানীয়দের বসত বাড়ির আঙ্গিণায় শোভা পাচ্ছে এসব রক্তলাল ফুল সমৃদ্ধ অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছ।

এ যেন এক অপরুপ মনোমুগ্ধকর ভালবাসার অনুভুতির ছোঁয়া। এসব কৃষ্ণচূড়া ফুলের নিজস্ব সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ফুলপ্রিয় পথচারীরা। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার জৌলুস।

জানা যায়, বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গাছে গাছে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া। যেন লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে প্রকৃতি। চোখ ধাঁধানো টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলে সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি। গ্রীষ্মের ছোঁয়া লাগার পর থেকেই প্রকৃতির শোভা বর্ধনকারী কৃষ্ণচূড়া ফুল অপরূপ সাজে সাজিয়ে রঙিন করে তুলেছে। পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ছে কৃষ্ণচূড়া। দূর থেকে দেখলে মনে হয়-যেন লাল রঙের পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে।

কৃষ্ণচূড়া তার রক্তিম আভা ছড়ানোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে অপরূপ করে। প্রকৃতিকে রক্তিমতায় মাতিয়ে রাখা এই বৃক্ষের উচ্চতা তেমন একটা বেশি হয় না। সর্বোচ্চ ১২ মিটার পর্যন্ত উপরে উঠলেও তার শাখা প্রশাখা বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত থাকে। পাপড়িগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হতে পারে।

প্রতিটি পাতা ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০ থেকে ৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। গ্রীষ্মজুড়ে প্রকৃতিকে মাতিয়ে রাখলেও অন্যান্য সময়গুলোতে এ বৃক্ষের উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়ে না। অনেকটা আড়ালেই থেকে যায় বাকিটা সময়। এপ্রিলে গ্রীষ্মের শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৃতির সবুজ পেছনে ফেলে বেরিয়ে আসতে থাকে লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া ফুল। মানুষের দৃষ্টিগোচর হতে থাকে তার সৌন্দর্য। তখন আর আলাদা করে তার খোঁজ নেওয়ার দরকার হয় না।

বগুড়ায় একসময় কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছের প্রচুর দেখা মিলতো। প্রতিবছর এই গ্রীস্মে ফুলফুটে প্রকৃতিতে শোভা বর্ধন করতো। কালের আবর্তে সেই কৃষ্ণচূড়ার গাছ এখন অনেকটাই কমে গেছে। তারপরও বগুড়া শহরের সাতমাথা (প্রধান ডাকঘরের সামনে), সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাস, ফুলবাড়ি, কলোনী, বনানী, মালতীনগর, চেলোপাড়া, সেউজগাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষ্ণচূড়া শোভা পাচ্ছে।

কবি ইসলাম রফিক জানান, বগুড়ায় বিভিন্ন সড়কে এখন কৃষ্ণচূড়া ফুটে আছে। প্রকৃতিতে এখন ভিন্ন রঙ ধরেছে। দূর থেকে দেখতে ঠিক লাল পাহাড়ের মতো মনে হয়। অপরূপ শোভায় শোভিত হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। যে কাউকে আকৃষ্ট করছে সড়কগুলো। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বগুড়ায় আরও বেশি কৃষ্ণচূড়া রোপণ করতে হবে।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কৃষ্ণচূড়া অতিপরিচিত বৃক্ষ। জেলার বিভিন্ন এলাকায় মিলছে কৃষ্ণচূড়া। এসব গাছের যত্ন নেওয়া হলে গ্রীষ্মকালে প্রকৃতির সৌন্দর্য আরও বাড়বে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন