বাড্ডা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস নকল নবিশ আলাউদ্দিন টুটুলের দখলে
নিজস্ব প্রতিনিধি
রাজধানী ঢাকার বাড্ডা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতি ও জালিয়াতির আতুর ঘরে পরিণত করেছে নকল নবিশ আলাউদ্দিন টুটুল, ঘুষ ছাড়া সেখানে কোন কাজ হয় না। জমির নিবন্ধন, নামজারি, জাল দলিলে জমি দখলসহ নানা ঘটনায় অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। একটা জমির দলিলও তার ইশারা ছাড়া বের হয় না।
জমির দলিল আটকে রেখে ভুক্তভোগীদের চাপের মুখে ঘুষ দাবি করে যোগসাজশে টাকা হাতিয়ে নেয় নকল নবিশ আলাউদ্দিন টুটুল, উম্মেদার নাসির রাব্বী, ও অফিস সহকারী মো: রাসেল।
ঘুষ আদায়ের কৌশল হিসেবে সাব-রেজিস্ট্রারের রুটিন মাফিক কাজ নকল নবিশরাও করছেন। এই সুযোগে নকলনবিশরা কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন তারা।
রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স ভবনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নকলনবিশ আলাউদ্দিন টুটুল দরবেশের বেশে তাকে সবাই হাজী সাহেব নামে চিনলেও তার মুখোশের আড়ালেই দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের সাথে যোগসাজশে দলিল রেজিস্ট্রি ভুক্তভোগীদের জিম্মি করে ভয়-ভীতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।
আলাউদ্দিন টুটুল দুর্নীতির মধ্যে একটি হয় রেজিস্ট্রিতে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন রকমের কৌশলে টাকা আদায়। রেজিস্ট্রি অনিয়মগুলো হয় মূলত- খাস জমি কে বানান মালিকানা, নাল জমিকে বানান বসত ভিটে, বসত ভিটেকে বানান নাল, সিটি কর্পোরেশনকে বানান পৌরসভা ও ইউনিয়ন, আবার ৫ তলা ভবনকে টিনশেড দেখিয়ে এভাবেই সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দুর্নীতি করে অবৈধভাবে আয় করেন কোটি কোটি টাকা।
সিন্ডিকেটের সাথে হাত মিলিয়ে সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন দেখিয়ে, সাব-কবলা দলিলের পরিবর্তে হেবা বিল এওয়াজ, অছিয়তনামা, ঘোষণাপত্র, আমমোক্তার নামা দলিল রেজিস্ট্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে তার বক্তব্য চেয়েও পাওয়া যায়নি