ডার্ক মোড
Thursday, 16 May 2024
ePaper   
Logo
বাউফলে নির্মাণের ১৫ দিনের মধ্যেই ঘাটলাটি ভেঙ্গে ফেলা হলো

বাউফলে নির্মাণের ১৫ দিনের মধ্যেই ঘাটলাটি ভেঙ্গে ফেলা হলো

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর বাউফল পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডে একটি সরকারী পাকা ঘাটলা নির্মাণের ১৫ দিন পর ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) তত্বাবধানে রাজস্ব তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাজার রোডে জনৈক মকবুল তালুকদারের বাসার পিছনে খালে এ ঘাটলাটি নির্মাণ করা হয়। গত ২২ মার্চ ঘাটলাটি নির্মাণ করা হয় এবং ৮ এপ্রিল ঘাটলাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।

অপরিকল্পিত ভাবে ঘাটলা নির্মাণ করায় খালের পানি চলাচল বাধাগ্রস্থ হওয়ায় বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের নির্দেশে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত সবুজ ওরফে সবুজ মাস্টারের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য তার বাসার পিছনে এ ঘাটলাটি নির্মাণ করা হয়। সবুজ মাস্টার মকবুল তালুকদারের ছেলে।

এ প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের পিএস অরে বিন্দু দাস স্ত্রী শিপ্রা দাস। প্রকল্প কমিটিতে মোট ৭ জন সদস্য করা হলেও এর মধ্যে ৬জন সদস্য কিছুই জানেননা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাকা ঘাটলা নির্মাণের পর ২ লাখ টাকার বিল তুলে নেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার সত্রে বাজার রোডের এক ব্যবসায়ী বলেন, সবুজ মাস্টারের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানে সম্পর্ক ভালো।

তাই ব্যক্তিগত সুবিধার জন্যই তার বাসার পিছনে এ ঘাটলাটি নির্মাণ করা হয়েছে। আবার কয়েকদিন পৌরসভা থেকে ঘাটলাটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এখানে সরকারী টাকার অপচয় করা হয়েছে। এ জন্য প্রকল্প প্রনয়নকারীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিৎ।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মানিক হোসেন বলেন, আমি সদ্য এ উপজেলা যোগদান করেছেন। তাই এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘাটলাটি করার আগে যাচাই বাছাই করে করা উচিৎ ছিল। ঘাটলাটি কেনইবা করা হলো আর কেনইবা ভাঙ্গা হলো তা আমার মাথায় আসছেনা।

এ ব্যাপারে বাউফল পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হক বলেন, খাল দখল করে ঘাটলাটি নির্মাণ করায় পানি চলাচলা বাধা গ্রস্থ হচ্ছিল। তাই ঘাটলাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন