বরিশালে সচিবালয়ের গোপন নথি সন্দেহে আটক করা ট্রাক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে তথ্য বিভ্রাট তা নিত্যান্তই গুজব
বরিশাল ব্যুরো
বরিশাল সদর উপজেলার কাগাশুরা গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে সচিবালয়ের গোপন নথি সন্দেহে দুই ট্রাকভর্তি কাগজপত্র আটক করেন। পরে খবর দেন কাউনিয়া থানায়। পুলিশ এসে ট্রাক দুটি আটক করে।
পরে জানা যায়, ট্রাক দুটিতে সচিবালয়ের কোনো গোপন নথি নেই, আছে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পুরোনো কাগজপত্র। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সচিবালয়ের গোপন নথি আটক হয়েছে বরিশালে।
সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এগুলো শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সেই ১৯৯২ সালের পুরনো নথি। সচিবালয়ের গোপন নথি বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা ছড়িয়ে পড়েছে তা আসলেই তথ্য বিভ্রান্ত এবং গুজব।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, বহু বছরের পুরোনো কাগজপত্র, সেই সঙ্গে অফিসের কাঠের আসবাবের ভেঙে যাওয়া কিছু মালামাল পুড়িয়ে ফেলার জন্য কাউনিয়া এলাকার ময়লাখোলায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ট্রাকচালক এসব মালামাল বিক্রি করে দিতে চাইছিলেন। এ কারণে ঘটনাস্থলে না গিয়ে তাঁরা অন্যত্র যাওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। ফলে তাঁরা ট্রাক দুটি আটক করলে তিনি নিজে গিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে ট্রাক দুটি অফিসে নিয়ে আসেন।
কাউনিয়া থানা–পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এলাকার লোকজন ট্রাক দুটি আটক করে। পরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেখানে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ট্রাক দুটি তাঁদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একটি লিখিত বিবরণী দিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে ট্রাক দুটি ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
এ সময় উপস্থিত কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর ট্রাক দুটি ওই এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল। এতে বিপুল পরিমাণ অফিশিয়াল কাগজ দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা ট্রাক দুটি আটক করেন।