ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদেরকে হামলা
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সিলেট
চলতি মৌসুমে হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ পিআইসির কমিটি গঠনে ঘুস গ্রহণ ও অনিয়মের অভিযোগ বিদ্যমান রয়েছে মুখে মুখে। এমন ঘটনার প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছে ছাত্র জনতা। কিন্তু মানববন্ধন শুরুর প্রাক্কালেই প্রতিবাদী ছাত্রদেরকে হামলার অভিযোগ উঠেছে।পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা হামলা প্রতিবাদে মিছিল করে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সদরে উপজেলা প্রশাসন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুবিধাভোগীরা ওই হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে আয়োজকদের দাবী।
প্রসঙ্গত, জেলার তাহিরপুরে চলতি মৌসুমে হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৬টি প্রকল্প কমিটি (পিআইসি) গঠন শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে।
পরবর্তীতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও)’র দাফতরিক ফেসবুক আইডিতে প্রকল্প কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাহিরপুরের দায়িত্বে থাকা পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ফসলরক্ষা বাঁধ নিমার্ণ, মেরামত,সংস্কার কাজে তাহিরপুর উপজেলার শনি, মাটিয়ান, মহালিয়া, বর্ধিত গুরমা,আঙ্গারুলি হাওরে ৭৬টি প্রকল্পে ১২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই সাথে কয়েকটি বাঁধের নির্মাণ কাজও চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা জানান,শিক্ষার্থীর উপর হামলা চলাকালে ফুয়াদ নামে একজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাহিরপুরে বিএনপির কিছু সুবিধাভোগী নেতা পর্দার আড়ালে আগাম ঘুস নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, পাউবোর মাধ্যমে পতিত আওয়ামী লীগের পূরনো সুবিধাভোগীদের দিয়েই অতীতের ন্যায় হাওরের বরাদ্দ লুটেপুটে নিতে পিআইসি গঠনের নামে ফাইল ওয়ার্ক করেছেন।
প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে নীতিমালা না মেনে ঘুস বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রকল্প কমিটি গঠন করায় আমরা প্রতিবাদ জানাতে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করেছিলাম আমরা।
মানববন্ধন শুরুর করার প্রাক্কালেই আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে ব্যানার ছিনিয়ে নেয় উপজেলা প্রশাসন ও পাউবোর সুবিধাভোগীরা। এসময় ছাত্র সমাজের নেতারা তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের (ইউএনও)’র উপর অভিযোগ আনেন।
মঙ্গলবার তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবুল হাসেমের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী মানববন্ধন করতে চেয়েছিলো কিন্তু ক্যান্টিনে বসা বিএনপির কিছু নেতাকর্মীদের সাথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কথাকাটাকাটি হয়। ব্যানার ছিনিয়ে নেয়া কিংবা হামলার ঘটনা আমার জানা নেই জানিয়ে ইউএনও বলেন ওই ঘটনার সাথে আমার কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাহিরপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন জানান, মানববন্ধনের ব্যানার ছিড়ে নি,নিয়ে গেছে, তারা( অভিযোগকারী) আমার কাছে আসছিল। তবে কাউকে চিনতে পারেনি বলে জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ দেয়নি এখনো।