পঞ্চগড়ে দিনে বাড়ে তাপমাত্রা রাতে তীব্র শীত, বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
বিকেল গড়ালেই উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় বাড়তে থাকে কনকনে শীতের মাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকে আরও বাড়তে থাকে পৌষের শীত। রাত গভীর হতে থাকলে যেন বরফ পড়ার মতো ঠান্ডা অনুভূত হয় পঞ্চগড়বাসীর। তবে সকাল ৯টার পর থেকে রোদের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে শীত অনেকটাই হারিয়ে যায়।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় চার দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে পঞ্চগড়ে।
স্থানীয় হানিফ, খালেক ও মহির উদ্দীন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে কনকনে শীতের মাত্রা বাড়তে থাকে। উপায়ন্তর না পেয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা কমানোর চেষ্টা করি। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা যেন জিরো ডিগ্রিতে নেমে আসে। এ সময়টায় শরীরে ডাবল কম্বল বা লেপ নিলেও মনে হয় ঠান্ডা লাগে। বিছানা, ঘরের ফ্লোর, আসবাবপত্র সবকিছুই বরফ হয়ে উঠে। আবার সকাল ৯টার পর থেকে শীতের প্রকোপ আর তেমন থাকে না।
শুক্রবার সকালে দেখা যায়, ঝলমলে রোদ হওয়ায় যে যার কাজে ছুটছেন। তবে ভোরে ভ্যান চালানো, শাকসবজি তোলা, পাথর তোলা ও চা বাগানে কাজ করতে হাত-পা অবশ হয়ে আসে বলে জানান এই পেশার মানুষজন।
এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। অনেকেই আবার হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আজকেও তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে। আজকে নিয়ে গত চার দিন ধরে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় এ অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।