ডার্ক মোড
Sunday, 08 September 2024
ePaper   
Logo
নেতৃত্বগুণে শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেতায় পরিণত : মির্জা আজম এমপি

নেতৃত্বগুণে শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেতায় পরিণত : মির্জা আজম এমপি

যুক্তরাষ্ট্র ব্যুরো

দুই দশক আগের চেহারায় ফিরেছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। আর এমন বিস্ময়কর জাগরণ ঘটে সংগঠনের সাবেক নেতা-কর্মীরা একত্রিত হওয়ায় এবং সেই সমাবেশের আয়োজন করা হয় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে সুসংগঠিত যুব সংগঠনের তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্ব প্রদানকারি দু’জনের একজন মির্জা আজম যুক্তরাষ্ট্রে আগমন করায়।

নিউইয়র্কে যুবলীগের সাবেক নেতা-কর্মীগণের এই অভ’তপূর্ব সমাবেশটি হয় ১ জুলাই সন্ধ্যায়। এর মধ্যমনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে একাত্তরের রাজাকারদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার জন্যে ঘৃণিত ও নিন্দিত জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক রহমান লন্ডনে বসে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমিক প্রবাসীরাও অপরিসীম ভ’মিকা রাখছেন।

মির্জা আজম এমপি বলেন, ৫৪ বছরের বাংলাদেশে ৩০ বছরের অধিক সময় ছিল জামাত-বিএনপি-এরশাদ-স্বৈরাচারের সরকার। এমনি সময়ে টানা চার মেয়াদে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। গত ১৬ বছরের ব্যবধানে তিনি বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করেছেন। গ্রাম-গ্রামান্তরে পাকা রাস্তা হয়েছে। আমরা বিদ্যুতের জন্যে বহুবছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। জীবন পর্যন্ত দিতে হয়েছে। শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে ওয়াদা করেছিলেন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেবেন। সময়ের ব্যবধানে আজ প্রতিটি ঘরেই বিদ্যুৎ পৌছে গেছে। যে গ্রামে রাস্তা পাকা হয়েছে এবং বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, সেটি কিন্তু এখণ আর গ্রাম নেই, তা এখন শহরে পরিণত হয়েছে।

ছাত্রলীগ, যুবলীগের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগের মত বিশাল একটি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া টানা ৭ বারের নির্বাচিত এমপি মির্জা আজম বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ১০/১৫ বছর আগে যে মানুষগুলো ছনের ঘরে থাকতেন, এখন বাংলাদেশে একটি ছনের ঘরও পাওয়া যায় না। ৫ বছর আগে যারা বাংলাদেশ ঘুরে এসেছেন, তারা এখন দেশে গেলে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে ইলেভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে বিশ্বাসই করতে চান না যে, এটি কি সেই বাংলাদেশ। এভাবেই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে। বাংলাদেশকে পাল্টে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

মির্জা আজম বলেন, আজ বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা উন্নয়নশীল দেশের সরকার প্রধানদের বলেছিলেন যে, উন্নয়ন করতে হলে বাংলাদেশের শেখ হাসিনাকে ফলো করুন। বাংলাদেশে এমন উন্নয়ন ঘটছে শেখ হাসিনার মেধা, যোগ্যতা এবং সুচিন্তিত নেতৃত্বগুণে। একইভাবে শেখ হাসিনা বিশ্বে অনন্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোয়ালিটি বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তিনি আজ বিশ্ব নেতায় রুপান্তরিত হয়েছেন নিজের যোগ্যতা, নিজের গুণাবলীতে। আজ যদি বিশ্বের তিনজন সৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম সামনে আসে তারমধ্যে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতৃ শেখ হাসিনাও থাকেন। মির্জা আজম উল্লেখ করেন, সারাবিশ্বে সবচেয়ে সাহসী প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেও শেখ হাসিনা নাম্বার ওয়ান। এ সময় যুবলীগের নেতৃবৃন্দ স্লোগান ধরেন ‘বারবার দরকার-শেখ হাসিনার সরকার’।

মির্জা আজম বলেন, আজ শেখ হাসিনার নতুন স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট রাষ্ট্রে পরিণত করার। স্মার্ট বাংলাদেশের মানে কি? সহজভাবে বলা যায়, এই আমেরিকার মত উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা, সে অনুযায়ী ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। এজন্যে বিগতদিনের মত সামনের দিনগুলোতেও যুবলীগের নেতা-কর্মীগণকে অতন্দ্র প্রহরীর ভ’মিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।

নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে একটি পার্টি হলে এ সমাবেশে সূচনা বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মিসবাহ আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলম। পরিচিতি পর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন হাজী এনাম, আব্দুর রহিম বাদশা, রেজাউল করিম, এম এ করিম জাহাঙ্গির, শাহাদৎ হোসেন, সাখাওয়াত আলী, শেখ জামাল হুসেন, শেখ আতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজমুল হক, জিল্লুর রহমান, সাইদুর রহমান শেলী, রবিউল ইসলাম, আবুল হুসেন, সাইফুল আলম সিদ্দিকী, আকতার হোসেন প্রমুখ। বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন হাসান আলী, আব্দুস শহীদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, বেশ ক’বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের নতুন কমিটির দাবি ঝুলে আছে। সেটি ত্বরান্বিত করার অনুরোধে সাড়া দিয়ে যুবলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, শীঘ্রই তিনি কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যানের সাথে এ নিয়ে কথা বলবেন।

উল্লেখ্য, দুই যুগ আগে কাউন্সিলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের কমিটি গঠনের সময় অতিথি ছিলেন সে সময়ের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির কবির নানক এবং সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম। স্মরণকালের বৃহত্তম এবং সুশৃঙ্খল সম্মেলনে গঠিত কমিটির প্রায় সকল কর্মকর্তাই ছিলেন এ আলোচনায়। তারা নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে অবিলম্বে যুবলীগের মত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগেরও নতুন কমিটির দাবি জানাচ্ছেন।

এ সময় মিসবাহ আহমেদ, হাজী এনাম প্রমুখ অভিযোগ করেন যে, সংগঠনে খন্দকার মোশতাকের প্রেতাত্মা ভর করায় যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের মত শক্তিশালী একটি সংগঠন আজ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। ১/১১ সময়ের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা মূল্যায়িত হচ্ছেন না। এর ফলে তৃণমূলে হতাশা বিরাজ করছে। নিজেরাই নিজেদেরকে সমালোচনার কাঠ গড়ায় দাড় করিয়েছি। আর এর ফায়দা দিচ্ছে জামাত-বিএনপি।

নাগরিক সংবর্ধনা ৭ জুলাই

নিউইয়র্কে জামালপুরবাসীর উদ্যোগে জননেতা মির্জা আজম এমপির নাগরিক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে ৭ জুলাই রোববার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন গুলশান টেরেস মিলনায়তনে। এ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজমুল হককে আহবায়ক এবং ফরিদ আলমকে সদস্য সচিব করে গঠিত একটি কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।

৯ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সাথে মতবিনিময়

নিউইয়র্ক অঞ্চলে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রবাসীগণের সাথে এক মতবিনিময়ে মিলিত হবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি। জ্যাকসন হাইটসে শেফ মহলে ৯ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠান হবে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। কেবলমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিরা এতে নানা ইস্যুতে কথা বলবেন বলে হোস্ট সংগঠনের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার ও আব্দুল কাদের মিয়া জানিয়েছেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন