ডার্ক মোড
Friday, 26 April 2024
ePaper   
Logo
ঝিনাইগাতীতে চার প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে আমেলার দিনকাটে অনাহারে অর্ধাহারে

ঝিনাইগাতীতে চার প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে আমেলার দিনকাটে অনাহারে অর্ধাহারে

শেরপুর প্রতিনিধি

চার প্রতিবন্ধি সন্তান নিয়ে বিধবা আমেলা বেগমের দিনকাটে অনাহারে অর্ধাহারে। কারো ভাগ্যে জুটেনি সরকারি- বেসরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা।

আমেলা বেগম (৯০)উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের উত্তর দাড়িয়ারপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর স্ত্রী। আব্দুল আলী পেশায় ছিলেন একজন দিনমজুর।

গত ৩০ বছর পুর্বে স্ত্রীও পাঁচ সন্তান রেখে মারা যান তিনি। আমেলা বেগমের ১ ছেলে ৩ মেয়ে শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের ভরনপোষণের তাগিদে আমেলা বেগম পারি জমায় ঢাকায়।

অন্যের বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখে ঢাকার একজন সহৃদয়বান ব্যবসায়ী আমেনা বেগমের বাড়িতে একটি ঘর নির্মান করে দেন। কিছুদিন পর আমেলা বেগম সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন বাড়িতে।

বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। আমেলা বেগমের এক মেয়ে আবেদার বিয়ে হয়েছে। তিনি বলেন, তার ছোট বোন আফরোজা, দোলেনা, অজুফা ও ছোট ভাই আলী হোসেন তারা মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী। তার মা আমেলা বেগমের বয়স শতবছর ছুঁই ছুঁই । বয়সের ভারে নুয়ে পরেছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভিক্ষাবৃত্তিও করতে যেতে পারছেন না তিনি।

ফলে চার প্রতিবন্ধি সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন আমেলা বেগম, ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, দুই জনকে প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় দুইজনের কার্ড হয়নি। সামনে বাকিদের কার্ড করে দেয়া হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ, স্থানীয়বাসীন্দা, আব্দুল আজিজ ,আব্দুল মজিদ শাজাহান আলী জানান, দুঃস্থ এই পরিবারটিকে বাঁচাতে প্রয়োজন সরকারি, বেসরকারি ও সমাজের বৃত্তবানদের সহযোগিতা। তবেই মানবতার রঙে বেঁচে থাকার আশায় প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে পারবে এই পরিবারটি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন