চিলমারীতে বেগুন চাষে বাজিমাত কৃষক রবিউলের
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের সাববাধ এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম বেগুন চাষ করে বাজিমাত করেছেন। পাঁচ মাসে আড়াই লাখেরও বেশি টাকা আয় করবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন। তিনি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার বীজ, সার ও আনুসাঙ্গিক কিছু নগদ অর্থ পেয়ে শুরু করেছেন বেগুন চাষ। এখন তিনি গড়ে প্রতিদিন বেগুন বিক্রি করছেন ৪ থেকে ৫ মণ। বাজারে দামও পাচ্ছেন মণ প্রতি ৭শ থেকে ৮ শ টাকা।
কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় রবি মৌসুমে সাড়ে ৫ শ হেক্টক জমিতে শাকসবজি চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বাধা কপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুন সহ অন্যান্য শীতকালীন সবজি রয়েছে।
সরেজমিন ও কৃষকের সঙে কথা বলে জানা গেছে, রবি মৌসুমে অন্যান্য সব্জির তুলনায় এক একর জমিতে বেগুন লাগিয়ে বাজিমাত করেছেন কৃষক রবিউল ইসলাম। লাভ বেশি হওয়ায় অন্য আবাদ বাদ দিয়ে তিনি বেগুন চাষে ঝুঁকেছেন। গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরে বেগুন। দুই একদিন পর পর খেত থেকে তোলেন ৮ থেকে ৯ মণ বেগুন। বাজারজাতেও ভালই সাড়া পাচ্ছেন তিনি। এখন নিজ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করছেন আশেপাশে উপজেলা গুলোতেও। ইতিমধ্যে খেত হতে বেগুন বিক্রি করেছেন প্রায় ৮০ হাজার টাকার। তবে আগামী পাঁচ মাস এই খেতে পরিচর্যা করলে আড়াই লাখেরও বেশি টাকা আয় করবেন বলে জানিয়েছেন এই কৃষক।
রবিউল ইসলাম জানান, বেগুন চাষ শুরু করতে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা। তবে এরই মধ্যে বিক্রি করছেন প্রায় ৮০ হাজার টাকার বেগুন।
তিনি বলেন, বন্যার আগ পর্যন্ত রাখবেন বেগুন খেত। এতে তিনি আয় করবেন আড়াই লাখ টাকারও বেশি। এখন কৃষি অফিস থেকে অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশাও করেছেন তিনি।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের প্রকল্পের আওতায় রবিউল ইসলামকে প্রণোদনার বীজ, সার সহ নগদ কিছু টাকা দেয়া হয়েছিল। এ দিয়ে তিনি বেগুন চাষ করেন। এখন এই খেত হতে তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করবেন।
চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, ওই কৃষককে প্রণোদনার আওতায় এক একর জমিতে বেগুন লাগানোর জন্য বীজ সার দেয়া হয়েছে। উনি বেগুন চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। আমরা পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কৃষকদেরও প্রণোদনার আওতায় আনা হবে।