
চিটাগাং কিংসের দুশ্চিন্তার নাম ‘নাম্বার সেভেন’
স্পোর্টস ডেস্ক
সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করা হয়েছিল ড্রাফটের বেশ আগেই। বিদেশিদের মধ্যে আসার কথা ছিল মঈন আলী এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের। কিন্তু নিজ সময়ের অন্যতম সেরা তিন অলরাউন্ডারের কেউই এলেন না চিটাগাং কিংসের ডেরায়। শেষ পর্যন্ত একটা বড় শূন্যস্থান নিয়েই বিপিএলে এক যুগ পর নেমেছিল বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
নাম্বার সেভেনের সেই শূন্যতাকে সঙ্গী করেই এবারে ফাইনালে নামছে চিটাগাং কিংস। প্রতিপক্ষ যেখানে আসরের হট ফেবারিট ফরচুন বরিশাল। ব্যাটে-বলে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দলটির বিপক্ষে চিটাগাং কিংসের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হতে পারে ব্যাটিং অর্ডারের ‘নাম্বার সেভেন’ স্লট।
উদ্বোধনী জুটিতে খাজা নাফে আর পারভেজ হোসেন ইমনের জুটিটা চিটাগাং কিংসের জন্য ভরসার। ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক, পাকিস্তানের হোসেন তালাত, মোহাম্মদ মিঠুন আর শামীম হোসেন পাটোয়ারি আছেন বন্দরনগরীর ভরসা হয়ে। এদের প্রত্যেকেই আছেন নিজেদের ছন্দে। শামীম সম্ভবত ক্যারিয়ারের সেরা সময়টাই পার করছেন এই মুহূর্তে।
কিন্তু এরপরেই যেন শেষ চিটাগাং কিংসের ব্যাটিং অর্ডার। সাত নাম্বারে নামছেন স্বীকৃত পেসার খালেদ আহমেদ। দুই-এক ম্যাচ ভালো ব্যাট করলেও খালেদ একেবারেই স্বীকৃত একজন বোলার। ব্যাট হাতে নিয়ম করে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেবেন তিনি, এমন প্রত্যাশাও হয়ত করা চলে না।
চিটাগাং কিংসের হাতে অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন নাইম ইসলাম বা রাহাতুল ফেরদৌসের মতো খেলোয়াড়। কিন্তু বোলিং বিভাগের ভারসাম্য রাখতেই কি না তাদের শুরুর একাদশে রাখাটা একটু কঠিন। খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, বিনুরা ফার্নান্দো, আলিস আল ইসলাম আর আরাফাত সানিকে নিয়ে গড়া বোলিং বিভাগটাই কিংসদের নিয়ে এসেছে ফাইনাল পর্যন্ত।
আর এই দলটার ওপরেই শেষ সময় পর্যন্ত আস্থা রাখছে চিটাগাং কিংসের টিম ম্যানেজমেন্ট। প্লে-অফের প্রথম ম্যাচ হারের পরেও সংবাদ সম্মেলনে দলের অধিনায়ক মিথুন বলেছিলেন, শেষ সময়ে স্কোয়াডে বিদেশি আনার পক্ষপাতী নয় তার দল। ফাইনাল ম্যাচে সেই আস্থার প্রতিদান কতটা দিতে পারে চিটাগাং কিংস সেটাই দেখার অপেক্ষা।