গোপালগঞ্জে ভিক্ষুকদের মাঝে অটোরিকশা ও চেক বিতরণ
গোলাম রব্বানী, গোপালগঞ্জ
ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় গোপালগঞ্জ জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।গত সোমবার দুপুরে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সামনে থেকে বিতরণ করেন উপপরিচালক মোঃ হারুন-অর- রশীদ।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার ০২ (দুই) জন ভিক্ষুককে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও একজনকে দোকান ঘরের মালামাল ক্রয়ের জন্য চেক তুলে দেন জেলা উপপরিচালক মোঃ হারুন-অর- রশীদ।
যাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তারা হলেন- বেদগ্ৰাম এলাকার নাজির মোল্যা, লায়েকের মোড় এলাকার এরিনা বেগম। আগে তারা ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন তারা অটোরিকশা ও দোকান পেয়ে সম্মানের সঙ্গে জীবিকার স্বপ্ন দেখছেন। গোপালগঞ্জ জেলা সমাজসেবা ও শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসন করা হয়।
ক্রমান্বয়ে জেলা শহরের প্রত্যেক এলাকায়সহ গোপালগঞ্জ জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে উপপরিচালক জানিয়েছেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে জেলার সহকারী পরিচালক মোঃ জুলফিকার আলী, সহকারী পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, শহর সমাজসেবা অফিসার ফারহানা নাসরিন সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন ।
ভিক্ষুক নাজিম মোল্যা বলেন, মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করা কষ্টের ও সম্মানহানির কাজ। এখন অটোরিকশা পেয়ে অনেক ভালো হলো। এখন আমরা উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবো এবং আত্ম সম্মান নিয়ে চলবো কখনো ভিক্ষা করবো না।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক, মোঃ হারুন-অর- রশীদ বলেন, আমরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে শহর এলাকায় আজকে দুই জন কে ০১লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেছি । আরো চার জনকে পর্যায়ক্রমে চেক প্রদান করা হবে। এ বছরে মোট ০৩ (তিন) লক্ষ টাকা বিতরণ করা হবে। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ০৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এই টাকা দিয়ে অটোরিকশা ও দোকান মাধ্যমে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হবে।এ বছরে আজ এই কার্যক্রমের শুরু হলো। তারা আর ভিক্ষায় ফিরে যাবে না মর্মে আমাদের কাছে অঙ্গীকারনামা জমা দিয়েছে। যাতে করে তারা আবারো পুরোনো পেশায় ফিরে যেতে না পারে সেজন্য তাদের মনিটরিং করা হবে। যে যে পেশায় ফিরে কাজ করে তারা পুনর্বাসিত হতে চায় তাকে সেভাবেই পুনর্বাসন করা হবে।