আর্থিক সুবিধা নিতে মামলায় মানসিক প্রতিবন্ধীসহ তিনজনের নাম অন্তর্ভূক্ত
মাহবুবুর রহমান টিপু শ্রীনগর থেকে
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানায় পুলিশের কাছ থেকে গ্রেফতারকৃত আসামী যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার মামলায় মো. করিম (৪০) নামে মানষিক ভারাম্যহীন এক ব্যক্তিসহ মোট তিন জনের নাম আসামীর তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা। অপর দুজন হলেন বাবু মুক্তার (৪৬) ও মোহন (২৭)। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন ঐ মামলায় মোট ৩১ জন আসামীর মধ্যে আর্থিক সুবিধার জন্য এই তিনজনকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সামাদ মেম্বার ও এসআই সালমান রহমানের মাধ্যমে এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
তারা দাবি করেন ঘটনার সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততাই নেই। ভূক্তভোগী বাবু মুক্তার জানান, আ’লীগ নেতা সামাদ মেম্বার ছাত্রআন্দোলনে হামলার নাশকতার মামলায় আসামী হয়েও যোগাযোগ রাখেন এসআই সালমানের সাথে। এসংক্রান্ত একটি কল রেকর্ডের তালিকায় দেখা যায় আসামী ছিনতাইয়ের দিন ১০ জানুয়ারি একাধিকবার ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন আ’লীগ নেতা সামাদ মেম্বার ও এস আই সালমান।
স্থানীয়রা জানান আ’লীগ সরকারের আমলে শীর্ষ নেতাদের সাথেও ছিলো এসআই সালমানের সক্ষতা। যার বেশকিছু ছবি আসে প্রতিবেদকের হাতে। আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় অপরাধীদের সাজা দাবি করে নির্দোশ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান ভূক্তভোগী ও স্থানীয়রা ।
এদিকে অভিযোগের বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা দাবি করেন ভাগ্যকুল ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি অভিযুক্ত সামাদ মেম্বার বলেন, আমি মামলার বিষয়ে কারো নাম তালিকায় দিতে বলিনি সালমানের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।
এবিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক সালমান রহমান বলেন, সামাদের সাথে তার দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। কলরেকর্ডের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।