
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী দুর্যোগ: নলচিরা ঘাটে দ্রুত সংস্কারের দাবি, ভোগান্তিতে রোগী ও বৃদ্ধরা
সাব্বির ইবনে ছিদ্দিক, হাতিয়া (নোয়াখালী)
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র তাণ্ডবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার অন্যতম প্রবেশদ্বার নলচিরা ঘাট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের প্রবল বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসে ঘাট এলাকার পল্টুন, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর অনেক অংশ ভেঙে পড়েছে। ফলে হাতিয়ার সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন শত শত যাত্রী এবং মালবাহী ট্রলার, লঞ্চ, সী-ট্রাক ও স্পিডবোট চলাচল করে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘাট দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয়দের কাঠের অস্থায়ী সাঁকো বা ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে করে রোগী, নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জহির উদ্দিন বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের আগেও ঘাটটির অবস্থা ছিল জরাজীর্ণ। এখন তো পুরোপুরি ধসে গেছে। রোগী কিংবা বৃদ্ধ কেউই ঘাট ব্যবহার করতে পারছে না। আমরা কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি।
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে দেখা গেছে, পল্টুন ভেঙে পানিতে ডুবে আছে। জেটি হালকাভাবে মেরামত করা হলেও লোহার কাঠামো সরে গেছে, হাঁটার জন্য কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা নেই।ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত নলচিরা ঘাটে ভেঙে পড়া পল্টুন ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রীদের ওঠানামা করতে দেখা গেছে।
নলচিরা ঘাটের সর্দার রহমত উল্লাহ জানান, “নলচিরা ঘাটের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। বিষয়টি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত মেরামতের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
নলচিরা বাজারের ব্যবসায়ী ডা. আবদুর রহমান বলেন, “নলচিরা ঘাট দ্রুত সংস্কার না হলে পুরো দ্বীপবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এতে অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা খাতে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।” তিনি ঘাটটি সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
Comment / Reply From
You May Also Like
Latest News
Vote / Poll
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ যথেষ্ট বলে মনে করেন কি?