
আগারগাঁও এ কিশোর গ্যাং লাদেন গ্রুপের ১২ সদস্য আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগারগাঁও তালতলা সংলগ্ন এলাকা থেকে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং লাদেন গ্রুপের ১২ জন সদস্যকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোঃ সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগারগাঁও ও তালতলা সংলগ্ন এলাকায় কুখ্যাত কিশোর গ্যাং লাদেন গ্রুপ দীর্ঘদিন যাবত ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, কিশোর গ্যাং লাদেন গ্রুপ আগামী ২০ মার্চ ২০২৫ তারিখ একটি নাশকতামূলক কার্যক্রম করার পরিকল্পনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন নজরদারির ভিত্তিতে জানা যায়, উক্ত কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা নাশকতামূলক কার্যক্রমের বিষয়ে পরিকল্পনার জন্য আগারগাঁও এর তালতলা এলাকায় সমবেত হচ্ছে। উক্ত জমায়েতে আধিপত্য বিস্তার এবং অন্যান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে উক্ত গ্রুপের নিজেদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয় এবং বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মারামারিতে লিপ্ত হয়। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য অদ্য ১০ মার্চ ২০২৫ তারিখ সোমবার মধ্যরাত ১ টায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন ঘটনাস্থলে আভিযানিক দল উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করার চেষ্টা করলে কিশোর গ্যাং এর লিডার লাদেনসহ অন্যান্য সহযোগীরা কোস্ট গার্ড সদস্যদের উপর হামলা করে। যায় ফলে ২ জন কোস্ট গার্ড সদস্য ঘটনাস্থলে আহত হয়। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ডের আভিযানিক দল কিশোর গ্যাংয়ের লিডার লাদেন সহ মোট ১২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত সন্ত্রাসীদের তল্লাশী করে ২৫ পিস ইয়াবা, ৫০ গ্রাম গাঁজা এবং ২১ টি দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
আটককৃতদের বিবরণঃ
মোঃ লাদেন (২১), রায়হান (১৮), বিল্লাল (১৪), হৃদয় (১৯), কালাম (৩০), সুমন (২০), নাঈম (১৬), শামসুদ্দিন (২৮), আরিফ (১৬),ফাহিম (১৬), মোঃ শাউন (১৭) ও রোহিদ (১৭)
তিনি আরও বলেন, আটককৃত সন্ত্রাসীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে শের-ই-বাংলা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Comment / Reply From
You May Also Like
Latest News
Vote / Poll
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ যথেষ্ট বলে মনে করেন কি?