
বেতন-ভাতা ও মর্যাদা বৃদ্ধির দাবিতে সাতক্ষীরায় আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের বিক্ষোভ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণ, ১০০ শতাংশ উৎসবভাতা, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা প্রদান, নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানসমূহকে এমপিওভুক্তকরণসহ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কল্যাণ তহবিল ও অবসর সুবিধার অর্থ দ্রুত পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন (বাআশিফ) সাতক্ষীরা জেলা শাখা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বাআশিফের সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস সবুর এবং পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল জলিল।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল। তিনি বলেন, “দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে এখনও পাহাড়সম বৈষম্য বিরাজ করছে। শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। সরকারের উচিত দ্রুত বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা, নইলে সারাদেশে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আগরদাড়ি আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. রুহুল আমিন, সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুফতি আখতারুজ্জামান, দেবহাটা সখিপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলী, সরাপপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া, অধ্যাপক আব্দুল ওয়ারেশ, অধ্যাপক বখতিয়ার উদ্দীন, অধ্যাপক আকবর হোসেন, অধ্যাপক গোলাম আজম, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক শাহজাহান কবির, মাওলানা আব্দুল বারী, উপাধ্যক্ষ আব্দুল মুজিত, অধ্যক্ষ আনারুল ইসলাম ও মাওলানা দেলওয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকরা জাতির মেরুদণ্ড—একটি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূলভিত্তি হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা, আর সেই শিক্ষার চালিকাশক্তি শিক্ষক সমাজ। তারা বলেন, শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বৈষম্য দূর করে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি সুষ্ঠু ও মানবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশ শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পার্কে গিয়ে শেষ হয়।
Comment / Reply From
You May Also Like
Latest News
Vote / Poll
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ যথেষ্ট বলে মনে করেন কি?