ডার্ক মোড
Saturday, 10 May 2025
ePaper   
Logo
সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে ৭৮ নারী-পুরুষকে ছেড়ে গেলেন ভারতীয় কোস্টগার্ড

সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে ৭৮ নারী-পুরুষকে ছেড়ে গেলেন ভারতীয় কোস্টগার্ড

 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি


ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ৭৮জন নারী ও পুরুষকে বাংলাদেশের আওতাধীন সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া এলাকার জঙ্গলে ফেলে গেছে। শুক্রবার (৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজেদের একাধিক নৌযান যোগে সীমান্তবর্তী রায়মঙ্গল নদীৃ পার হয়ে বাংরাদেশে প্রবশের পর তারা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত উক্ত ৭৮জনকে মান্দারবাড়ির সংলগ্ন বনের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় মান্দারবাড়িয়া বনবিভাগের টহল ফাঁড়ির সদস্যদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যরা গভীর বনের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় থাকা ঐসকল নারী পুরুষকে উদ্ধারে রওনা হয়। 

বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক মোঃ মশিউর রহমান জানান, শুক্রবার বিকালের দিকে তারা জানতে পারেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও কোস্টাগার্ড সদস্যরা ৬৩জন নারী-পুরুষকে মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়ির পাশে রেখে গেছে। পরবর্তীতে সন্ধ্যার পর জানতে পারেন দ্বিতীয় দফায় আরও ১৫জনকে পৃথক স্পিডবোটে করে একই জায়গাতে ফেলে যাওয়া হয়েছে। মোট ৭৮জনকে ফেলে রেখে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।

বনবিভাগের এ উর্ধ্বতন কমকর্তা আরও জানান, এত বিপুল সংখ্যক মানুষের সেখানে আশ্রয় দেয়ার মতো সুযোগ নেই। উপকূল থেকে অনেক দূরে হওয়ার কারণে শুক্রবার রাতের মধ্যে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব না। এছাড়া কী কারণে এবং কেন তাদেরকে এভাবে বনের মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে বনের মধ্যে ফেলে যাওয়া হলো সেটাও ঠিকঠাক বোঝা যাচ্ছে না। তবে বনকর্মীসহ কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলেও তিনি নিশ্চিত করেন। 

এবিষয়ে কোস্টগার্ড কৈখালী বিসিজি স্টেশনের মুখপত্র এম মালেকুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মংলা থেকে কাছাকাছি। যেকারণে শ্যামনগর থেকে কোস্টগার্ডের কোন টিম রওনা না হলেও হয়তোবা সেদিক থেকে কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।  

এদিকে নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এসব নারী ও পুরুষ বাংলাদেশী নাগরিক। তবে জন্ম বাংলাদেশে হলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বসবাসের সুযোগে সেদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। চলমান দু’দেশের মধ্যকার উত্তেজনার কারণে হয়তোবা তাদেরকে আটক করে বাংলাদেশে পাঠানোর অংশ হিসেবে বনের মধ্যে ফেলে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে মান্দারবাড়িয়ায় অবস্থানরতদের জন্য খাবার ও পানি কিছুই না থাকার কারণে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও পানি পাঠিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের ম্যাধমে। উদ্ধার করে লোকালয়ে নেয়ার পরই কেবল তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মিলবে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি। 

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক আর কেন সেখানে বনের মধ্যে ফেলে যাওয়া হয়েছে সেসব তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে বলেও জানান অফিসার ইনচার্জ।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন