
সুন্দরবনের উপকূলীলে পানি সংকটে ধানের মাঠ শুন্য, খাল ভরাটে বোরো চাষে বিপর্যয়
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলীয় শস্যভাণ্ডার নামে খ্যাত উর্বর ভূমি বাগেরহাটের উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলার ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের মাঠে, এক সময় যেখানে সবুজে ভরে উঠত বোরো ধানের মাঠ, আজ সেখানে ফাটল ধরা মাটি। পানি সংকট আর খাল-জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ বছর ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। বোরো ধান, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার অন্যতম স্তম্ভ, তা চাষ করা সম্ভব হয়নি অনেক এলাকাজুড়ে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, পানি সরবরাহের মূল উৎস ছিল যে খাল ও ছোট জলাধারগুলো, সেগুলো একের পর এক ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও উন্নয়ন প্রকল্পের নামে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, “গত বছর যেখানে ৬ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করছিলাম, এবার এক বিঘাও হয়নি। টিউবওয়েল চালানোর মতো পানিও নেই, আর খাল তো অনেক আগেই নেই। শুধু চোখের সামনে ফসল হারানোর দৃশ্য দেখতে হলো।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, “আমরা কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি, তবে পানি সরবরাহ নিশ্চিত না হলে কিছু করার থাকে না। খাল পুনঃখনন এবং সেচ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।”
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলাশয় ও খাল সংরক্ষণ না করলে ভবিষ্যতে বোরো চাষই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি শুধু কৃষকের ক্ষতি নয়, খাদ্য উৎপাদনের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
অবিলম্বে খাল পুনরুদ্ধার, সেচ সুবিধা বৃদ্ধি । তা না হলে শুধু এক মৌসুম নয়, দেশের খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থাই বড় সংকটে পড়বে।