সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ নয় বলেই হামলার টার্গেট হয়: বি’বাড়ীয়া হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রেসক্লাব পরিদর্শনে জাতীয় প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেছেন, পুরো দেশের সাংবাদিক সমাজকে এক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সাংবাদিক সমাজের মধ্যে বিভক্তি আছে বলেই দুস্কৃতিকারী-মৌলবাদীরা হামলার সাহস পায়, যে এদের ওপর হামলা করলেও কিছু হবেনা। নাহলে সাংবাদিকরা কেন টার্গেট হবে? কেন সাংবাদিকদের গাড়ি পোড়াবে? আগে তো কখনো এমন ঘটেনি। পেশার কাজে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ফরিদা ইয়াছমিন এসব কথা বলেন। ফরিদা ইয়াছমিনের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের একটি প্রতিনিধি দল হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের তা-বে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে আসেন। এসময় প্রেস ক্লাবে হামলার বিষয়টি জাতীয় প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের কাছে বর্ণনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন। এছাড়াও হেফাজত কর্মী-সমর্থকদের হামলার শিকার প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি তাঁর ওপর হামলার বিবরণ দেন।
গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তা-ব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী ও সমর্থকরা। তারা সরকারি বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ফরীদা ইয়াসমিন বলেন, যে কোনো প্রান্তে সাংবাদিকদের ওপর আঘাত মানে, প্রত্যেকের মনে করতে হবে এটা আমার নিজের ওপর আঘাত। কারণ এ পেশাকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে আমরা এক হয়ে দায়িত্ব পালন করব।
কারণ ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবসহ দেশের সকল সাংবাদিক সমাজের পাশে আমরা আছি। তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতির রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে অনেক বেশি প্রগতিশীল মনে করা হয়। সাংবাদিকরা সবসময় প্রগতি, গণতন্ত্র এবং মানুষের কথা বলে। সাংবাদিকরা অন্য আর দশটা মানুষের মতো দায়িত্ব এড়াতে পারেননা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে আঘাতকে আমরা আমাদের ওপর আঘাত মনে করেই ছুটে এসেছি। বাংলাদেশের যে কোনো প্রন্তে যদি সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়, আমরা মনে করি এটা আমাদের ওপর হামলা। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দরা ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
এ সময় ফরিদা ইয়াছমিনের সাথে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, নির্বাহী সদস্য আইয়ুব ভূঁইয়া, নির্বাহী সদস্য রেজানুর রহমান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, শাহনাজ বেগম পলি, শাহনাজ সিদ্দীক সোমা, সিনিয়র সদস্য জাহাঙ্গীর খান বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক জালাল আহমেদ প্রমুখ। প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সহিংসতার ঘটনায় নতুন ৭টিসহ এখন পর্যন্ত ১৯ টি মামলা হয়েছে। এতে গ্রেফতার হয়েছে ২৪ জন।