
লোহাগড়ার মধুমতি নদীতে নেই কোন স্রোত, তবু চলছে নদী ভাঙন
এস এম শরিফুল ইসলাম লোহাগড়া,নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়ার মধুমতি নদীতে বর্তমানে নেই কোন স্রোত,তবুও থেমে নেই কয়েকটি গ্রামের নদী ভাঙন। কোন কোন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের
দেওয়া বালির বস্তা গুলো নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে, ফলে আগের বস্তা সরে গিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে ভাঙন। এমন দৃশ্য দেখা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার শালনগরইউনিয়নের কাশিপুর, মাকড়াইল,রামচন্দ্রপুর ও নওখোলা গ্রামে।বুধবার(২৩এপ্রিল) বিকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার শালনগর
ইউনিয়নের চারটি গ্রামের ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি একের পর এক নদী গর্ভেবিলীন হচ্ছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত
মাকড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের তিনটি স্কুল, কয়েকটিমসজিদ, আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং গ্রামীণ সড়ক। বর্ষা মৌসুমে মধুমতি নদীতে
ভাঙন দেখা দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড সাম্প্রতিক বছর গুলোতে কোন জায়গায়বালির বস্তা ফেলে বাধ নির্মাণ করায় ভাঙন কিছুটা রোধ হয়েছিল। তবে ড্রেজারমেশিন বসিয়ে ইজারাকৃত ও ইজারা বহির্ভূত স্থান থেকে বালু উত্তোলনের কারণে বেশ কিছু জায়গায় বাধ ভেঙে পড়েছে। সেই কারণেই এ বছর বর্ষা মৌসুমআশার আগেই ভাঙন শুরু হয়েছে।শালনগর ইউপির কাশিপুর গ্রামের আমেনা বেগম বলেন,‘মধুমতি নদীথেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের কারণেই এ এলাকার ফসলি জমিসহ ঘরবাড়িভেঙে যাচ্ছে। কোথাও গিয়ে নতুন করে বাড়ি ঘর করার মতো জমি তাদের নেই। তবে এবার বর্ষা মৌসুম এলে সব কিছু চলে যাবে মধুমতি নদী গর্ভে। মাকড়াইল গ্রামের মৃধা বলেন,মধুমতি নদীতে আমাদের কয়েক একর
জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। আমার ভাই ইতোমধ্যে বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র চলে গেছে। নদী থেকে বালি তোলার কারণে মাকড়াইল গ্রামের বেশ কিছু বাড়িরসামনের বাঁধ ভেঙে পড়েছে।
লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রিয়াদ জানান,মধুমতি নদী ভাঙনের কারণে শালনগর ইউনিয়নের চারটি এলাকার বালি মহলের ইজারা বন্ধ করে
দেওয়া হয়েছে। এখন কেউ যদি অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নড়াইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুমার সাহা বলেন,নিয়ম না মেনে বালি উত্তোলনের কারণে আমাদের নির্মিত
প্রতিরক্ষা বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে প্রশাসনের সহযোগিতায় ইজারাকৃত ওঅনিয়মিত বালি উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুম আশার আগেই ওই
এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধ নিমার্ণে কাজ করবে।