ডার্ক মোড
Sunday, 27 April 2025
ePaper   
Logo
সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য নিজেকে গড়ে তুলতে হবে যোগ্য নাগরিক হিসেবে — বক্তারা

সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য নিজেকে গড়ে তুলতে হবে যোগ্য নাগরিক হিসেবে — বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী 
শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য নিজেকে গড়ে তুলতে হবে একজন সচেতন ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে। সৃজনশীল নৃত্যচর্চা মানুষের অন্যতম আরাধ্য শক্তি, যা মেধা ও মননের বিকাশ ঘটায়। তরুণ প্রজন্মই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে, তাই তাদের মেধা ও প্রতিভার যথাযথ মূল্যায়ন জরুরি।— এমনটাই মত দিয়েছেন বক্তারা, ভঙ্গী নৃত্য শিল্পালয় আয়োজিত আলোচনা সভায়।

রাজশাহীর তানোর পৌর শহরের উপজেলা মিলনায়তনে আজ (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয় ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ‘সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চায় সৃষ্টিশীল মেধা ও প্রতিভার বিকাশ হোক সর্বত্র’ শীর্ষক এ আয়োজনে সহযাত্রী ছিল উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি (তানোর), স্বপ্নচারী যুব উন্নয়ন সংস্থা এবং ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ (YASC)।

আলোচনার আগে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে র‌্যালিটি উপজেলা চত্বর প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকে এসে শেষ হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বপ্নচারী যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মো. রুবেল হোসেন মিন্টু। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন ভঙ্গী নৃত্য শিল্পালয়ের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ইসমত আরা মমি এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফায়সাল চৌধুরী। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রবিন শেখ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও উন্নয়নকর্মী, ভঙ্গী নৃত্য শিল্পালয় ও YASC-এর সভাপতি মো. শামীউল আলীম শাওন। তিনি বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ও আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসের তাৎপর্য ও ইতিহাস তুলে ধরেন।

আলোচনায় অংশ নেন তানোর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক মো. আইয়ুব আলী এবং সাতপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) মো. মনিরুজ্জামান। তারা বলেন, “মেধা একটি জাতির ভিত্তি। জাতিসংঘের বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস পালন করে আসছে। পাশাপাশি, ২৯ এপ্রিল পালিত হয় আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস—নৃত্যশিল্পী জাঁ-জর্জ নভেরার জন্মদিন স্মরণে।”

বক্তারা আরও বলেন, “নৃত্য মানুষের আত্মিক প্রকাশের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। নৃত্যের মাধ্যমে সামাজিক সংযোগ তৈরি হয়, যা সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।”

আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় সৃজনশীল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ‘ও আলোর পথযাত্রী’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন ইসমত আরা মমি, ফায়সাল চৌধুরী এবং রবিন শেখ। কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন রবিন শেখ। এছাড়াও পরিবেশিত হয় ‘ও প্রিয়তমা’ ও ‘ফাগুনের মোহনায়’ গানের তালে পরিবেশিত নৃত্য।

শেষ অংশে তানোর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘তীর হারা ওই ঢেউয়ের সাগর’ গানসহ আরও কয়েকটি সঙ্গীত পরিবেশনা। তবলায় ছিলেন রাসেদুল হাসান, হারমোনিয়ামে আইয়ুব আলী এবং গিটারে মাসুম। কণ্ঠে ছিলেন মরিয়ম আক্তার তমালিকা, সৌমিতা রজক দিয়া, চঞ্চল কর্মকার, সজিব ও বিশ্বজিৎ।

অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণবন্ত, মননশীল এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ—a reflection of creative consciousness in building a culturally enriched generation.

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন