যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দেশের ৫১তম এ বাজেট প্রস্তাব আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় সংসদে পেশ করা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। এবারের বাজেটে বিলাসদ্রব্যসহ অনেক দ্রব্যে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে অনেক পণ্যের দাম বাড়বে।
বিলাসপণ্যের মধ্যে বডি স্প্রে, প্রসাধন পণ্য, জুস, প্যাকেটজাত খাদ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমদানিতে নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। ফলে দাম বাড়তে পারে এসব পণ্যের। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে এবার দাম বৃদ্ধি পেতে পারে তামাকজাত পণ্যের। স্ল্যাব অনুসারে শুল্ক আরোপ হবে। এনবিআর সূত্র জানায়, সিগারেটের নিম্নস্তরের তিনটি স্ল্যাবে বেশি দাম বাড়তে পারে। অগ্রিম করারোপের কারণে দাম বাড়বে মদ জাতীয় পণ্যের। প্রস্তাবিত বাজেটে মদ আমদানিতে অগ্রিম কর ২০-২৫ শতাংশ বাড়ছে। দেশি পণ্য সুরক্ষায় শুল্ক আরোপে আমদানিকেরা স্মার্ট মোবাইল ফোন দাম আরেক দফায় বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছে দেশি কোম্পানিগুলো। মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে বিলাসবহুল গাড়ি। চার হাজার সিসির ওপরে বিলাসবহুল রিকন্ডিশন গাড়িতে সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও আগাম কর ও ভ্যাট মিলিয়ে কর প্রায় সাড়ে ৮০০ শতাংশে করভার রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ওই করভার এক হাজার শতাংশ বা তার বেশি হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া পনির, দই, তামাকজাত পণ্য, এসি, মোবাইল, পেপার কাপলেট, জিআই ফিটিং, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, গাড়ির সিলিন্ডার, লাইটার, কম্পিউটার প্রিন্টারের টোনার, ট্রেনের প্রথম শ্রেণির ভাড়া, মেডিটেশন সেবার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আমদানি করা ইলেকট্রনিক কেব্ল, সব ধরনের পাইপ, আমদানি করা মোটরসাইকেল, সব ধরনের রাবার জাতীয় পণ্য, আমদানি করা সোলার প্যানেল, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, আমদানি করা চেয়ার, প্রিন্টিং কালি, আমদানি করা বিলাসবহুল পাখি, কিট-মাস্কসহ সব ধরনের কোভিড-১৯ সরঞ্জাম ইত্যাদির দাম বাড়তে পারে।
শুল্ক বাড়ানোয় আমদানি করা ফ্রিজ ও এসির দাম আরেক দফা বাড়তে পারে। দাম বাড়তে পারে আমদানি করা সব ধরনের বিলাসবহুল গৃহস্থালী পণ্যেরও।