ডার্ক মোড
Friday, 18 April 2025
ePaper   
Logo
দোহারে বিদেশ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

দোহারে বিদেশ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন


মাহবুবুর রহমান টিপু, দোহার ও নবাবগঞ্জ (ঢাকা)প্রতিনিধি:

ঢাকার দোহারে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে জাল ভিসা দিয়ে প্রতারণা করে টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে নজরুল ইসলাম রাসেল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর টাকা ফেরৎ না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার নাপাওযায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সীমা আক্তার নামে এক নারী। মঙ্গলবার দুপুরে দোহার প্রেসক্লাবে উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের মইতপাড়াপল্লীবাজার গ্রামের সিমা আক্তার (৪৫) নামে ভুক্তভোগী ওই নারী অভিযোগ করেন একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে শেখ রাসেলেরবিরুদ্ধে।নজরুল ইসলাম শেখ রাসেল(৩৮) উপজেলা বিএনপি’র সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক ও মুকসুদপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সভাপতি। ভুক্তভোগী সিমা আক্তার জানান, আমার ছেলে সোহানকে ও আমার ভাই শেখ জামালের ছেলে ঝিলুকে দুবাইতে চাকুরির আশ^াস দিয়ে দুজনের কাছ থেকে শেখ রাসেল ও তার স্ত্রী ইতি পাঁচ লক্ষ টাকা নেয়। আমরা অত্যান্ত গরীব মানুষ এতগুলো টাকা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (এনজিও) সাজেদা ফাউন্ডেশন থেকে ধারদেনা করে জোগাড় করে তাদের হাতে তুলে দেই। রাসেল আমাদের ভিসাও দেয়। সেই ভিসা সন্দেহ হলে যাচাই করে দেখতে পান ভিসা দুটি জাল। এ সময়ে তার স্ত্রী ইতির কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিনিও আমাদের সহযোগিতা না করে উল্টো হুমকি ধামকি দিচ্ছেন এবং স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার নাম ভাঙিয়ে আমাদের মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে অভিযোগ করেন।
তিনি জানান, এখনো সেই ধারদেনা ও ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। কিস্তির লোকজন এবং পাওনাদাররা আমাদের বাড়ি থেকে ঘর তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করছেন। এই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আমি গত ১৭ মার্চ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু এতেও কোনো সুরাহা হয়নি। এখন এই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। ধারদেনা করে জোগাড় করা অর্থ শেখ রাসেলকে দেওয়া হয়েছে।এখন আমি অসহায় আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় টাকাগুলো ফেরৎ চাই। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক ও মুকসুদপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম@ শেখ রাসেল জানান, এঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। সংবাদ সম্মেলনকারী সিমা আক্তার মুকসুদপুর ইউনিয়নের পল্লী বাজার এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সৈজুদ্দিনের স্ত্রী। তার ছেলে সোহান ও তার স্বামী সৈজুদ্দিনের নামে থানায় মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।বিষয়টি দোহার থানার ওসি(তদন্ত) মো.নুরনবী অবহিত রয়েছেন। তাছাড়া  সৈজুদ্দিন ও তার সহযোগী হানিফ এরা সবাই আওয়ামীলীগের লোক। আমাকে সামাজিকভাবে হেও করার জন্য আজ তারা মিখ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
এ বিষয়ে দোহার থানার ওসি (তদন্ত) মো.নুরনবী জানান, গত ৫ আগষ্টে দোহার থানায় চাত্র—জনতার শান্তিপূর্ন মিছিলে একাধিক হামলার ঘটনায় দোহার থানায় তিনটি মামলা চলমান রয়েছে।আসামী ধরতে আমাদেও অভিযান রয়েছে।তবে ভুক্তভোগী সিমা আক্তারের কোন অভিযোগের বিষয়টি তার জানা নেই। 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন