
রূপগঞ্জে বিএনপি'র দুই গ্রুপে সংঘর্ষ গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় অপরাধের সম্রাজ্য খ্যাত চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রে মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের গুলিতে হাসিব নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরো ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবদলের কর্মী হাসিব চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ (গ সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী হাসান বলেন, গতকাল রাতে চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটে। এতে হাসিব নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। দোষী ব্যক্তি যেই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের শামীম ও সেচ্ছাসেকদলের রব্বানীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে চনপাড়া সেচ্ছাসেবক দল সমর্থিত রবিনের সাথে একই এলাকার যুবদল সমর্থিত মনিরের কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে মারামারি হয়। বিষয়টি মীমাংসার স্বার্থে যুবদল নেতা শামীম ও সেচ্ছাসেবকদল নেতা করিম এবং রাব্বানীর সাথে বৈঠক হয়। বৈঠকে মীমাংসা না হয়ে উল্টো দুইপক্ষ উত্তেজিত হয়ে উঠে।
এ সময় খবর পেয়ে দুই পক্ষের কর্মী সমর্থকেরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয় পক্ষের, বাসার, রাসেল, হাসিবসহ গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে হাসিব সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বর্তমানে চনপাড়া বস্তিতে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান করছে যৌথবাহিনী। সেখানে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।
নিহতের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে মাদক ব্যবসায়ী রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেকদলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা তাদের লোকজন নিয়ে সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায় এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম বলেন, আমি এলাকায় নেই। শুনেছি রবীন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেকদলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদলের কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ সয়ম ঘটনাস্থলেই যুবদল নেতা বাবুর ছোট ভাই হাসিব মারা যায়। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী আমার সঙ্গে সেচ্ছাসেবক দল করে। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।