বন্ধ চিনিকলগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে : শিল্প উপদেষ্টা
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
বন্ধ থাকা সব চিনিকল চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, দেশের বন্ধ থাকা সব চিনিকলগুলো একটার পর একটা চালু করা হবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে অসংখ্য শহীদ ও গুম হয়ে যাওয়া পরিবার আর নির্যাতিত মানুষের রক্তের ওপর আমরা দাঁড়িয়ে আছি। রক্তের ঋণ শোধ করতেই এই নির্যাতিত কৃষক শ্রমজীবী মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। এই লক্ষ্যেই কাজ করছে অন্তবর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ে বন্ধ হয়ে থাকা সুগার মিল পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আদিলুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ। কৃষকদের সাপোর্ট দেওয়াই একটা এই সরকারের কাজ। আমরা চেষ্টা করছি একটার পর একটা বন্ধ কারখানা চালু করার। এই কথা পৌঁছে দিতে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি, আমরা কলকারখানা চালু করতে চাই। বন্ধ সমস্ত কলকারখানা আমরা চালুর পাশাপাশি নতুন উদ্যোগও নেওয়া হবে। কালকেই চালু হবে—এমন বক্তব্য আমরা দিতে পারি না। তবে যত দ্রুত সম্ভব আমরা করার চেষ্টা করছি। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমরা যতদূর পারি খুলে দিয়ে যাবো। পরে যারা আসবেন তারা এটি চালিয়ে নেবেন।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের আর্থিক উন্নয়নের চেষ্টা করছি। এ কারণেই এখানে আসা। যেন উত্তর বাংলায় আবারও কাজের আবার পরিবেশ তৈরি হয়। মানুষ যেন তার পেশায় ফিরে যেতে পারে। সুগার মিলের যেসব জায়গা দখল হয়েছে সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। গত সরকারের পার্টনারশিপ পরিকল্পনার পরিণতি এই রক্তাক্ত বাংলাদেশ। ছাত্র-ছাত্রীরা যে অবদান রেখেছেন, সেই অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি যেন আমরা দিতে পারি।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সচিব আনোয়ার কবীর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’- এর সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির ইকবার হোসাইনসহ পঞ্চগড় সুগার মিলের কর্মকর্তা, কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আঁখচাষিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিকে সন্ধ্যার পরে পঞ্চগড় সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান নিহত পঞ্চগড়ের পাঁচ শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।