দোহারে কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ
দোহার(ঢাকা) প্রতিনিধি
দোহারে উপজেলা কৃষি দপ্তর আয়োজিত রবি-২০২৪/২৫ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার দিনব্যাপী কৃষি প্রনোদনা বীজ ও সার কৃষকদের মাঝে বিতরন করা হয়।
বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলোরা ইয়াসমিন বলেন, কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর উদ্দেশ্য ও এর সফলতা বাস্তবায়নে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসকে গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ । জনগোষ্ঠীর চাহিদা মিটিয়ে দেশটি আজ কৃষি উৎপাদনে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। চাষাবাদ পদ্ধতিতে প্রদত্ত এই প্রণোদনা দোহার উপজেলায় অতিরিক্ত শস্য উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আকতার ফারুক ফুয়াদের সভাপতিত্বে কৃষিভিত্তিক আলোচনায় তিনি বলেন, এ বছর দোহার উপজেলায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় মোট ২৩৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে কৃষি প্রনোদনা প্রদান করা হবে ।
এর মধ্যে গম ৩০জন, ভুট্টা ৬০জন, সরিষা ২০০০জন, মসুর ৩০জন, খেসারী ৫০জন, চিনাবাদাম ১৫০জন এবং শীতকালীন পেঁয়াজ ২০জন কৃষক উপকরণ সহায়তা পাবেন ।
প্রণোদনার আওতায় এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় গম বীজ ২০ কেজি, ভুট্টার বীজ ২ কেজি, সরিষার বীজ ১ কেজি, চিনাবাদামের বীজ ১০ কেজি, পেঁয়াজের বীজ ১ কেজি, মসুরের বীজ ৫ কেজি ও খেসারির বীজ ৮ কেজি ও সার বিনামূল্যে পাবেন ।
সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দিলীপ কুমার মন্ডলের উপস্থাপনায় ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল সঞ্চালনায় কৃষকদের উৎসাহিত করতে বক্তব্যে বলেন যে, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তিই কৃষি। জাতীয় আয়ের সিংহভাগ আসে এই কৃষি থেকে। ফলে চাষাবাদ পদ্ধতিকে আরও আধুনিকায়ন এবং উৎপাদনশীল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কৃষি বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে । এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন, খামার যান্ত্রিকীকরণ, পরিবেশসম্মত চাষাবাদ প্রভৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের মধ্যে পাট রফতানিতে প্রথম, পাট ও কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, ধান, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থান অধিকার করে কৃষি উন্নয়নের দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এসময়ে উপস্থিতি কৃষকরা এবার যথাসময়ে সার ও বীজ পেয়ে ফসলের কাঙ্ক্ষিত ফলনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।