সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিনিধি দল
সিলেট ব্যুরো
ব্রিটিশ কাউন্সিল দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হেলেন সিলভেস্টারের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগর ভবনে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে আবু আহমদ ছিদ্দীকী প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এরপর প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে ব্রিটিশ কাউন্সিল দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হেলেন সিলভেস্টার বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৬৫ বছরের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন, মেধা ও সংস্কৃতির বিনিময় এবং বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। আমরা মেধা ও যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে আত্মবিশ্বাসী করে উন্নত জীবনের আকাঙ্খা সৃষ্টিতে কাজ করছি। আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের অংশীদারদের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন, উচ্চ শিক্ষা ও ইংরেজি শিক্ষায় অবদান রাখার চেষ্টা করছি। সিলেট অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ব্রিটিশ কাউন্সিলের ই-লাইব্রেরির বইপুস্তক, ই-বুক ও জার্নাল পড়ার সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
সরকারি, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারত্বের মাধ্যমে শিক্ষা, দক্ষতা, অর্থনৈতিক অর্ভুক্তি এবং নাগরিক অংশগ্রহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতেও কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে যৌথভাবে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রæতি দেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সঙ্গেও কাজ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আবু আহমদ ছিদ্দীকী বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে যৌথ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। সিলেটের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্রিটিশ কাউন্সিলকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার ও প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বক্তব্য দেন।সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশিক নূর, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ^জিত দেব, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. ইসলাম উদ্দিন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) একলিম আবদীন, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আবুল ফজল, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ উপস্থিত ছিলেন।