
চুয়াডাঙ্গায় যুবককে কুপিয়ে জখম
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
তরমুজ বিক্রিকে ঘিরে পুরনো বিরোধের জেরে চুয়াডাঙ্গা শহরে এক যুবকের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে শহরের টাউন ফুটবল মাঠের সামনে নিপুন সাহা (২৪) নামের ওই যুবককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে একদল দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত নিপুন সাহা চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজারপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা কৃষ্ণ সাহার ছেলে। তিনি তার পরিবারসহ টাউন ফুটবল মাঠের কাছে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
এদিকে, একটি তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে ধারাবাহিক হামলায় এযাবৎ তিনজন আহত হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তরমুজ বিক্রি কেন্দ্রিক ঘটনা এখন রাজনৈতিক মোড় নিচ্ছে।
নিপুনের মা কাজল রানী সাহা জানান, রাতে বাসার পাশে রাস্তার বের হলে ২০ থেকে ২৫ জন বিভিন্ন বয়সী যুবককে বড় বড় দা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তিনি চিৎকার করলে নিপুন ঘর থেকে বের হলে তারা তাকে ধাওয়া করে পৌরসভা মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ফেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় নিপুনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোর্শেদ আলম জানান, তার মাথা, পিঠ ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় নিপুন অভিযোগ করেন, শহরের ছাগল ফার্মপাড়ার আবু হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন (২৬), জেবু ও রানা নামের ব্যক্তিসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন তার ওপর হামলা চালিয়েছে। নিপুন সাহা আগে সিলেটে থাকতেন। এখন চুয়াডাঙ্গায় থাকেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে যে বিরোধের ঘটনা ঘটে, তার জের ধরেই এই হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বড় বাজারে একটি তরমুজ সাদা হওয়ায় তা ফেরত দিতে গিয়ে বিক্রেতা ও ক্রেতা পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় বিক্রেতা পক্ষের রুবেল ইসলাম রুবু ও আমিরুল ইসলাম আহত হন। নিপুন সাহা ওই ঘটনায় বিক্রেতা পক্ষের পক্ষে থাকায় শনিবার রাতে তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।