আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতিকে পথ দেখাতে হবে: তারেক রহমান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচারের মাথা পালিয়ে গেছে কিন্তু অবশিষ্ট অংশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারা নিজেদের অবস্থানকে গুছিয়ে নিয়ে আবার দেশের দখল নেয়ার চেষ্টা করছে। তাদের এই লক্ষ্যকে হাসিল করতে দেয়া হবে না। এই অবস্থায় দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে ঐক্যের বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
১ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি‘র সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি‘র বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, দেশকে পুনঃগঠনের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ৩১ দফা দেওয়া হয়েছে। এই দফার মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্পের বিকাশসহ বেকারত্বদূরীকরন এবং কৃষির উন্নয়নে সকলের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর জনগনের ভোট দেয়ার অধিকার ছিল না। জবাবদিহীতা ছিল না। অস্ত্রের মুখে সব অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আমরা ডামি নির্বাচন ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেখেছি। উন্নয়নের নাম করে সামান্য জিনিস দৃশ্যমান করা হলেও এর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। রাস্ট্রের সমস্থ প্রতিষ্ঠান ধ্বংষ করা হয়েছে। বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এই দলের কর্মী হিসেবে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতিকে পথ দেখাতে হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি‘র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো: বরকত উল্লাহ বুলু। জেলা বিএনপি‘র আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তৃতা করেন বিএনপি‘র কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: সেলিম ভুইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মোস্তাক আহম্মেদ, বিএনপি‘র কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির আহবায় কমিটির সদস্য কবির আহমেদ ভূঁইয়া, শ্রমিক দল সভাপতি হেবজুল বারী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বি এন পির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সদস্য জহিরুল হক খোকন।
এদিকে দীর্ঘ এক যুগ পর জেলা বিএনপির এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলার সর্বত্রই ছিল উৎসবের আমেজ। শনিবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন রং-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা । দুপুর ১২টার আগেই দলীয় নেতাকর্মিদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।