
আবারো মঞ্চে আসছে অনসাম্বল থিয়েটারের প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর আবুল মনসুরের একক অভিনয় “আই কান্ট ব্রিদ”
নিজস্ব প্রতিবেদক
সময়ের গলা চেপে ধরা অমানবিকতা যখন নিঃশ্বাস নিতে দেয় না, তখন জন্ম নেয় একটি আর্তনাদ—“আই কান্ট ব্রিদ।” এই আর্তনাদই রূপ পেয়েছে অনসাম্বল থিয়েটারের মঞ্চনাটকে, যার নাম ‘আই কান্ট ব্রিদ’।
প্রথম মঞ্চায়নের অভাবনীয় সাড়া ও আবেগঘন প্রতিক্রিয়ার পর নাটকটি ফের মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে আগামী ২৩ মে, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৭টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে।
এই নাটক শুধু একটি প্রযোজনা নয়—এটি নিপীড়িত মানুষের নিঃশ্বাসরুদ্ধ বাস্তবতার এক কণ্ঠস্বর। সেই কণ্ঠের নাম আবুল মনসুর। তিনি শুধু এই নাটকের একমাত্র চরিত্র নন—তিনি হয়ে উঠেছেন একক অভিনয়ের মাধ্যমে শত সহস্র নিঃশ্বাস আটকে রাখা মানুষের প্রতিনিধি।
প্রথম প্রদর্শনীতে অনেক দর্শক কেঁদে ফেলেন, দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান। একজন প্রবীণ নাট্যবোদ্ধা মুস্তাকীম বিল্লাহ মন্তব্য ছিল— যেন নিঃশ্বাস নিতে না-পারা মানুষের জীবন্ত চিৎকার শুনলাম! এটি আমাদের জীবনের আয়না।”
নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন বায়োগ্রাফিক্যাল নাট্যকার জুয়েল কবির। মঞ্চ পরিকল্পনায় রিবন খন্দকার, শিল্প নির্দেশনায় ড. আইরিন পারভীন লোপা, আলো পরিকল্পনায় পলক ইসলাম এবং সংগীতে এ বি এম তানভীর আলম সজিব।
অনসাম্বল থিয়েটার ময়মনসিংহ বিভাগে বরাবরই সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিবাদী শিল্পনির্ভর নাট্যপ্রকাশের জন্য পরিচিত। কিন্তু ‘আই কান্ট ব্রিদ’ তাদের পথচলায় যেন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
এই অধ্যায়ের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা মো. আবুল মনসুর শুধুই একজন অভিনেতা নন—তিনি একজন সাংস্কৃতিক কর্মী, এক সময়সচেতন কণ্ঠস্বর, যার মঞ্চে দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করা প্রতিটি সংলাপ যেন সামাজিক দায়বদ্ধতার এক একেকটি ঘোষণা।
নাটকটির অভিনেতা আবুল মনসুর বলেন- আগামী ২৩ মে’র প্রদর্শনী শুধু নাট্যপ্রেমীদের জন্য নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো প্রত্যেক মানুষ ও বিবেকবান শিল্পঅনুরাগীর জন্য এক জরুরি উপস্থিতির মুহূর্ত।
নির্দেশক জুয়েল কবির বলেন- এই নাটক দেখতে আসা মানে শুধু শিল্পের পাশে দাঁড়ানো নয়—সময়ের কাছে নিজের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া।