
সিএনজিতে ঘুরাঘুরি পরে সুযোগ বুঝে করেন চুরি
পাবনা প্রতিনিধি
সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঘুরাঘুরি। পরে সুযোগ বুঝে অভিনব কায়দায় করেন ছাগল চুরি। সিসি টিভি ক্যামেড়ায় ধারণকৃত ফুটেজে এমনি একটি অভিনব কৌশলে ছাগল চুরির চিত্র দেখা গেছে পাবনা চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়ালে। সম্প্রতি চুরির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, সড়কের পাশে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে কালো রঙের বড় একটি ছাগল। ইতিমধ্যে ভোরের আলো নামে, সবুজ কালারের একটি সিএনজি এসে দাঁড়িয়ে পরে ছাগলের সামনে। এরপর সিএনজি থেকে সাদা শাট ও লুঙ্গি পরিহিত এক ব্যক্তি বের হয়ে কথা বলতে থাকেন ফোনে। আরেকজন গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যান ছাগলের কাছে। এরপর নীল গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরা আরেক ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ান ছাগলের সামনে। পরে পাথচারী আসতে দেখে উঠে পরেন গাড়িতে। কিছুক্ষণ পর আবারও নামেন গাড়ি থেকে। এরপর নীল গেঞ্জি এবং সাদা শাট ও সাদা লুঙ্গি পরিহিত ব্যক্তিটি লুঙ্গি পরার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ঢেকে ফেলেন ছাগলটিকে। এরপর আরেকজন গাড়ি থেকে নেমে ছাগলটি ধরে গাড়িতে তোলেন। এরপর সিএনজি নিয়ে চলে যান হামকুঁড়িয়া মান্নান নগর সড়কের দিকে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, চুরি যাওয়া ছাগলটি হান্ডিয়াল খন্দকার পাড়া এলাকার মৃত. সোলেমান খন্দকারের ছেলে আক্তার খন্দকারের। তিনি হান্ডিয়াল পশ্চিম বাজারের একজন মুদি দোকান ব্যবসায়ী। স্থানীয়রা জানান, তিনি অনেক দিন যাবত ছাগলটি লালন-পালন করছিলেন। পরে তারা জানতে পারেন ছাগলটি চুরি হয়েছে। তারা জানান, তবে চুরির বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় এলাবাসী জানান, দিনে দুপুরে জনসম্মুখে এভাবে অভিনব কৌশলে ছাগল চুরির ঘটনায় অনেকটা হতবাক হয়েছেন তারা। তাই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানান স্থানীয়রা।
চুরি যাওয়া ছাগল মালিক আক্তার হোসেন জানান, গত শুক্রবার দুপুরের দিকে বাজারে এক দোকানের সামনে ছাগলটি বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলো। পরে গিয়ে দেখেন ছাগলটি নেই। অনেক খোঁজাখুজি করেও ছাগলটি আর পাননি তিনি। এরপর পাশের দোকানের সিসি ক্যামেড়া ফুটেজে দেখতে পান, অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি ছাগলটি গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। তিনি জানান, ছাগলটি অনেক দিন ধরেই লালন-পালন করছিলেন তিনি। তিনি জানান, ছাগলটি প্রতিবছরই প্রায় ২-৩ টা বাচ্চা দিয়ে থাকে। তিনি আরও জানান, কিছুদিন পর ছাগলটি আবারও বাচ্চা দিবে। ভুক্তভোগী জানান, বর্তমানে ছাগলটির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। ছাগলটি এভাবে চুরি যাওয়ায় অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি। তাই চুরির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও চুরিকৃত ছাগল উদ্ধারে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এবিষয়ে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টা জেনেছি এবং শনাক্তের চেষ্টা করছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ ছাগল চুরির বিষয়ে কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন
আপনি ও পছন্দ করতে পারেন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
আর্কাইভ!
অনুগ্রহ করে একটি তারিখ নির্বাচন করুন!
দাখিল করুন