
অস্বাভাবিক জোয়ারে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, চরম দুর্ভোগে দ্বীপের বাসিন্দারা
সাব্বির ইবনে ছিদ্দিক, হাতিয়া (নোয়াখালী)
টানা বৃষ্টিপাত ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল। ফলে আটকে পড়েছেন হাজারো মানুষ। প্রতিদিন দুইবার করে লোকালয়ে ঢুকে পড়া জোয়ারের পানিতে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। কৃষিজমি, মাছের ঘের, হাঁস-মুরগির খামার ও বসতঘর প্লাবনে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং সাগরে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে নিঝুমদ্বীপ, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, সুখচর, চানন্দী ও নলচিরা ইউনিয়নের গ্রাম পানির নিচে চলে গেছে। অনেক জায়গায় বেরিবাদ ও কাঁচা রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও বসতঘরের ভেতর ঢুকে পড়েছে জোয়ারের পানি, মানুষ বাধ্য হয়ে রান্না, খাওয়া, ঘুমসহ নিত্যদিনের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে কোমরপানি ডিঙিয়ে।
নিঝুমদ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা লাভলী আক্তার জানান, “প্রতিদিন অন্তত দুইবার পানি উঠে বসতভিটায় চলে আসছে। আমাদের মাছের ঘের, ধানক্ষেত ও হাঁস-মুরগির খামার পানিতে ভেসে গেছে।
জোয়ারের পানিতে নিঝুমদ্বীপ জাতীয় উদ্যানের বনাঞ্চলও প্লাবিত হওয়ায় বন্য হরিণসহ বিভিন্ন প্রাণী আশ্রয়ের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এতে প্রাণীগুলোর যেমন জীবনঝুঁকি বাড়ছে, তেমনি শিকারিদের দৌরাত্ম্যে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
উপকূলীয় নদী তীরবর্তী অঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভাঙনের আশঙ্কা। হাতিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকায় এখনো ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। এতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও প্রাথমিক তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।