ডার্ক মোড
Saturday, 19 April 2025
ePaper   
Logo
লালমনিরহাট সীমান্তে  গভীর রাতে বাংলাদেশী যুবকের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

লালমনিরহাট সীমান্তে গভীর রাতে বাংলাদেশী যুবকের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

 
 
মোঃ লাভলু শেখ লালমনিরহাট
 
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক হাসিবুল আলম (২৪) এর মরদেহ  গভীর রাতে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী  বিএসএফ। বৃহস্পতিবার রাত  পৌনে ১২টার দিকে লালমনিরহাটের  হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্য সিঙ্গীমারী সীমান্ত দিয়ে মরদেহ ফেরত দেয়া হয়। এসময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী( বিএসএফ) এবং বাংলাদেশ ও ভারতীয় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। রাতেই নিহত হাসিবুল আলমের  মরদেহের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুন-নবী। নিহত বাংলাদেশি যুবক হাসিবুল আলম হাতীবান্ধা উপজেলার সীমান্তবর্তী মধ্য সিঙ্গীমারী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। এদিকে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী হত্যা, ধরে নিয়ে যাওয়া ও নির্যাতন, জোর করে কাটাতারের বেড়া দেয়ার ঘটনায় লালমনিরহাটের বিভিন্ন সীমান্ত ঘেষা  গ্রামগুলোতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।ফলে সীমান্ত সংলগ্ন জমিতে কৃষক কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
 
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্য সিঙ্গিমারী সীমান্তের ৮৯৪ নং মেইন পিলালের সাব পিলার ৬ এস এর কাছে হাসিবুলসহ কয়েকজন গরুর খাবারের জন্য ঘাস সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার শীতলকুচি এলাকার নগর সিঙ্গিমারী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি যুবকদের লক্ষ্যকরে গুলি ছুঁড়ে। এতে হাসিবুল চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অন্য যুবকরা দ্রুত পালিয়ে আসলেও হাসিবুল মাটিতেই পড়ে থাকেন। বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভারতে টেনে হেচঁড়ে  ধরে নিয়ে যান। বুধবার রাতে হাসিবুল ভারতের কোচবিহার জেলার একটি হাসপাতালে মারা যান।
 
হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুন-নবী জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে নিহত বাংলাদেশি যুবক হাসিনুরের মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা ছিলো বিএসএফের। কিন্তু সীমান্তে উত্তেজনা থাকায় বিএসএফ বৃহস্পতিবার বিকালে মরদেহ ফেরত দেয়নি। বৃহস্পতিবার রাত পযর্ন্ত সীমান্তে লোকজনের উত্তেজনা ছিলো। সীমান্ত থেকে লোকজন চলে যাওয়ার পর ওই দিন  গভীর রাতে মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ।
 
প্রসঙ্গত, সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও থেমে নেই ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা। পতাকা বৈঠকেই সীমাবদ্ধ সমাধানের পথ। সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারত বারবার আশ্বাস দিলেও সেটার বাস্তবায়ন শূন্যের কোঠায়। 
 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন