ডার্ক মোড
Monday, 29 April 2024
ePaper   
Logo
সোনারগাঁয় হাসপাতালে কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যু আটক ৪

সোনারগাঁয় হাসপাতালে কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যু আটক ৪

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে জহিরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক কর্মচারীকে হত্যার অভিযোগে হাসপাতালের মালিক সহ ৩ জনকে আটক করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। গতকাল সকালে সেবা জেনারেল হাসপাতাল নামের একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নিহতের স্বজন এবং উত্তেজিত এলাকাবাসী হাসপাতালটি চারিদিক ঘিরে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করতে সক্ষম হন।

জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকায় অবস্থিত ভূঁইয়াপ্লাজার দ্বিতীয় তলায় সেবা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফার্মেসীতে কর্মরত ছিল।

নাইট শিফট থাকায় গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসে। এরপর হাসপাতালের ফার্মেসীতে কাজ করা অবস্থায় রাত ১০টায় তার বাড়িতে স্ত্রী তাহিরা শবনম জুবাইদাকে ফোন করে ভোরে বাড়িতে ফিরবেন বলে জানান। সকাল থেকে তাকে ফোনে না পেয়ে তার স্ত্রী হাসপাতালে ফোন করে তার খোঁজ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন সঠিক তথ্য দিতে না পারায় স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে এসে একটি কক্ষে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় পরিবারের সদস্যরা অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের খবর দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে জরুরী সেবায় (৯৯৯) ফোন করেন।

জহিরুল ইসলামের স্ত্রী তাহিরা শবনম জুবাইদা জানান, হাসপাতালে এসে দেখতে পাই একটি কক্ষের মেজেতে আমার স্বামীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। তার স্ত্রীর দাবি তার স্বামীকে হত্যা করে লাশ ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়েছে।

মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জহিরুলের স্বজন ও বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে জহিরুলের মৃত্যুর সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি জানান। পরে হাসপাতালের মালিক মনির হোসেন, ম্যানেজার আক্তার ও মোস্তাফিজকে আটক করলে বিক্ষুদ্ধ জনতা শান্ত হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) আহসান উল্লাহ জানান, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন