ডার্ক মোড
Wednesday, 12 March 2025
ePaper   
Logo
সুষ্ঠভাবে ট্রেন চলাচলে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ফিটিংস চুরি ও মানুষ চলাচল বন্ধ হওয়া জরুরি

সুষ্ঠভাবে ট্রেন চলাচলে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ফিটিংস চুরি ও মানুষ চলাচল বন্ধ হওয়া জরুরি

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)

বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগের ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকাসহ ( রেললাইনের আপ ও ডাউন ২১২/২-২১৩/০ কিঃমিঃ ও ২১০/২-৮ কিঃমিঃ এর মধ্যে ) বিভিন্ন রুটের বিভিন্ন স্থান থেকে (পেড্রোল ক্লিপ, কাভার প্লেট, হুক বোল্টসহ নানা প্রকার ফিটিংস চুরি হচ্ছে। রেললাইনের উপর সর্বদা ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও রেললাইনের উপর দিয়ে জনসাধারণের চলাচল বৃদ্ধি পাওয়া এবং চোরের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য ধারায় মামলা রেকর্ড না করায় চোরেরা সহজেই জামিনে মুক্ত হয়ে পুণরায় চুরির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে । এঅবস্থায় এসব রুটে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক যাত্রী বহণকারী 22 জোড়া ট্রেন চলাচলে মারাত্নকভাবে বিঘ্ন ঘটছে। সুষ্ঠভাবে ট্রেন চালানো দুস্কর হয়ে পড়েছে। এসব চুরির সমস্যা সমাধানের জন্য গত 30.07.2023 ইং তারিখে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী/2 এর পক্ষ থেকে পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার,নাটোর ও পাবনা জেলা পুলিশ সুপার এবং গত 08.04.02024 ইং তারিখেনীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার ও সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর পৃথক পত্র দিয়েও অদ্যবধি চুরি বন্ধে কোন কাজ না হওয়ায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে ও পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের দায়িত্বশীল কর্মংকর্তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। রেলওয়ে পাকশী বিভাগের একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানাগেছে।

সূত্রমতে,বাংলাদেশ রেলওয়ের রেললাইনের (রেল, স্লিপার, ইআরসি, লাইনার, রাবার প্যাডসহ বিভিন্ন প্রকার ফিটিংস প্রতিনিয়ত রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমেই এর উপর দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরাপদে ট্রেন চলাচল করে। ১৯৯০ এর দশকেও রেললাইনের এসব ফিটিংস রেললাইনে মুক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও সেসব ফিটিংস কখনো রেললাইন থেকে খোয়া যেত না। কিন্তু রেললাইনের উপর সর্বদা ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও ইদানীং যত্রতত্র রেললাইনের উপর মানুষের যাতায়াতের ফলে রেললাইন এর বিভিন্ন ফিটিংস চুরি হচ্ছে। যে কারণে সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে । এসব ফিটিংস চুরি শীঘ্রই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈশ্বরদী বাইপাস-আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী আপ ও ডাউন ২১২/২-২১৩/০কিঃমিঃ থেকে ২১০/২-৮ কিঃমিঃপর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে রেললাইনের পেড্রোল ক্লিপ, কাভার প্লেট, হুক বোল্ট বিভিন্ন ফিটিংস চুরি হওয়ায় রেলপথে সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চলাচলে মারাত্নকভাবে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে একাধিকবার রেলওয়ে থানায় এজাহার করা হয়েছে । এরপরও চুরি কমছে না। উল্লেখিত সেকশনে প্রতিঘন্টায় ১’শ কিঃমিঃ বেগে ট্রেন চলাচল করে থাকে। রেলওয়ে ট্র্যাকের বিভিন্ন ফিটিংস চুরি অব্যাহত থাকলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এঅবস্থায় নিরাপদ ট্রেন চলাচল ও দুর্ঘটনারোধ কল্পে ঈশ্বরদী বাইপাস-আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকার আপ ও ডাউন ২১২/২-২১৩/০কিঃমিটার ও ২১০/২-৮ কিঃমিটারসহ পাকশী বিভাগের অন্যান্য সকল এলাকায় রেললাইনের উপর দিয়ে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করা অতীব জরুরী। এমতাবস্থায়, নিরাপদ ট্রেন চলাচল ও দুর্ঘটনারোধকল্পে ঈশ্বরদী বাইপাস-আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় আপ ও ডাউন ২১২/২-২১৩/০ কিঃমিটার ও ২১০/২-৮ কিঃমিটার এলাকাসহ অন্যান্য সকল এলাকায় দিনের বেলায় বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মচারী লাইনে কর্মরত থাকায় প্রত্যেকদিন অন্ততপক্ষে সন্ধ্যা 7টা হতে সকাল 6টা পর্যন্ত রেললাইনের উপর দিয়ে মানুষ যাতায়াত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি প্রয়োজন।
শুধু তাইনা,চোরাই ফিটিংসসহ চোর ধরা পড়লে রেলওয়ে থানায় সাধারণ চুরি মামলা রেকর্ড হওয়ায় চুরি হবেনা। আগের মত রেলওয়ের চোরাই যে কোন ফিটিংসসহ চোর ধরা পড়লে চোরের বিরুদ্ধে জামিনের অযোগ্য ধারায়(ননবেলএবল) মামলা রেকর্ড করা প্রয়োজন। এবং মামলার রায়ে চোরের সর্বনিম্ন সাত বছরের শাস্তি চালু করা প্রয়োজন। জাপানসহ পৃথিবীর সকল দেশেই রেলওয়ে ম্যান ছাড়া সাধারণ কোন ব্যক্তির নিকট রেলওয়ে যেকোন সম্পদ পাওয়া গেলে বা রেললাইনের উপর দিয়ে যে কোন মানুষ চলাচল করলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা চালু রয়েছে। অথচ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ও পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে যত্রতত্র রেললাইনের উপর দিয়ে মানুষের যাতায়াতের ফলে রেললাইন থেকে বিভিন্ন প্রকার ফিটিংস চুরির প্রবোনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সূত্রমতে, ১৯৯০ এর দশকেও রেললাইনের বিভিন্ন প্রকার ফিটিংস রেললাইনে মুক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও সেসব ফিটিংস কখনো রেললাইন থেকে চুরি হতোনা । কিন্তু রেললাইনের উপর সর্বদা ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও ইদানীং যত্রতত্র রেললাইনের উপর মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধির ফলে রেললাইন এর বিভিন্ন ফিটিংস চুরি অব্যাহদ রয়েছে। যার ফলে সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রেলওয়ে ট্র্যাকের বিভিন্ন ফিটিংস চুরি হতে থাকলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হতে পারে। এমতাবস্থায়, নিরাপদ ট্রেন চলাচল ও দুর্ঘটনারোধকল্পে ঈশ্বরদী বাইপাস-আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী অন্যান্য সকল এলাকায় রাতের বেলায় পাহারা দার নিয়োগ বা রেললাইনের উপর দিয়ে মানুষের যাতায়াত নিষিদ্ধ করণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা রাতের বেলায় রেললাইনের উপর দিয়ে চলাচল কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন