ডার্ক মোড
Monday, 29 April 2024
ePaper   
Logo
সাতক্ষীরার ঈদ বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

সাতক্ষীরার ঈদ বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

আসছে ঈদুল ফিতর, পনের রোজা শেষ। এবার দিনগননার পালা, ঈদ আনন্দ ভাসবে সকলে,ঈদ খুশি আর ঈদ পরিপূর্ণতা নতুন পোশাক থেকে শুরু করে আসবাবপত্র, ফার্ণিচার, ইলেকট্রিক সামগ্রী,নিত্য প্রয়োজনীয় ও ব্যবহার্য সামগ্রী বিশেষ প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রমজানের শুরুতেই ঈদ বার্তা পৌছে যায় ঘরে ঘরে আর তাই রোজা শুরুর সাথে সাথে ঈদ কেনাকটা ও ঈদ প্রস্তুতি বিশেষ ভাবে লক্ষনীয়।

সাতক্ষীরার বাস্তবতায় অনেক আগেই ঈদ কেনা কাটা শুরু হয়েছে। এবারের ঈদ কেনাকাটায় শহেরর বড় বড় বিপনী বিতান গুলোর পাশাপাশি ফুটপথের মার্কেট ও টং দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে। ব্রান্ডের পোষাকের মোহ হতে ক্রেতারা এসব বেরিয়ে এসেছে এমনটি ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে ব্রান্ডের দোহাই দিয়ে এক শ্রেনির বিপনী বিতান গুলো নতুন পোশাক সহ কসমেটিকস ও প্রয়োজনীয় মুল্য বেশী নির্ধারন করছে। জমকালো ডেকেরেশন, ঠান্ডা বাতাস, সহ বিভিন্ন ধরনের আধুনিকতার নিদর্শন পূর্ণ কোন কোন মার্কেট ক্রেতা আকর্ষণ করলেও সাধ সাধ্য আর মুল্য নির্ধিারনেন ক্রেতাদেরকে খুশি করতে পারছে না।

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ গামী যাত্রী বাহি যানবাহনগুলো শহরের খুলনা রোড, হাটের মোড়, নিউমার্কেট এলাকায় এসে যাত্রীদের একটি বড় অংশ নামছে যাদের অধিকাংশ ঈদ কেনাকাটায় আগত। যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি ঈদ কেনাকাটায় আগতদের একটি বড় অংশ মহেন্দ্র, ইজিবাইক,মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেলে আসছে। এবারের ঈদ বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা অবশ্য বরাবরই ঈদ কেনাকাটায় মহিলাদের অংশ গ্রহন বেশী থাকে।

শহরের একটি মধ্যম সারীর বিপনী বিতানে কেনাকাটায় ও একাধিক মহিলার সাথে ঈদ প্রস্তুতি,ঈদ বাজার বিষয়ে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ কেনাকাটায় কেবল মাত্র নতুন জামা কাপড়, শাড়ী প্রসাধনীই শেষ কথা নয়, ঘর গৃহস্থালী, ঘর গোছানো,রান্না বান্না, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী যা পুরুষদের পক্ষে কেনাকাটা করা কষ্টসাধ্য কারন রান্নাঘর ও আববাব পত্রের বিষয়ে মহিলাদের জানা বেশী সাতক্ষীরা শহরস্থ পাকাপুল সংলগ্ন ফুটপথ,থানা সড়কই যেন ঈদ বাজারের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।

কেবল নতুন পোশাকই ঈদ প্রস্তুতিতে তা নয় ইলেকট্রনিক্স দোকান গুলোতে বেড়েছে বিক্রি,ঘর সংসার গোছানো ও ঈদ প্রস্তুতির যেন অন্যতম অংশ আর তাই ফার্ণিচারের শোরুম গুলোতেও উপচে পড়া ভিড়, নতুন পোষাকের সাথে চাই ম্যাচিং স্যান্ডেল, শহরের জুতার শো রুম গুলোতে তাই ভিড় যেন কমতে চাইছে না,প্রসাধনী বাজার ও অতি জমজমাট,প্রতিষ্ঠিত কসমেটিকস্ এর দোকানের পাশাপাশি থানা সড়কের বিস্তীর্ন সড়কে বসেছে ভ্রাম্যমান কসমেটিকস ও প্রসাধনীর সমাহার, মহিলা হতে শুরু করে সব শ্রেনির ক্রেতাদের লক্ষ বস্তুতে পরিনত হয়েছে প্রসাধনী মার্কেট। তৈরী পোশাক শ্রমিকরা ঈদ বাজারে তাদের ব্যস্ততার সামান্যতম ফাঁক নেই। বিগত দিন গুলোতে দর্জিরা অলস সময় কাটালেও বর্তমান তাদের ফাক নেই। গতকাল ঘুরে দেখা গেছে দর্জিলা নতুন কোন অর্ডার নিতে চাইছে না।

শহরের বস্ত্রবিতান গুলোতে বাহারী পাঞ্জাবীূর ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও দর্জিদের দারস্থ হচ্ছে সৌখিন পাঞ্জাবী পরিধান কারীরা। মহিলাদের থ্রি পিচ সহ উঠতি বয়সের মেয়েদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দর্জিদের দ্বারস্থ হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত কম স্বচ্ছলরা থানা সড়কওপাকা পুলের অস্থায়ী দোকান গুলোতে ঝুকছে। ঈদ বাজারে দরকসাকসির বিষয়টি ও প্রকাশ্যে এসেছে।

এক দোকান হতে অন্য দোকানে যেমন পছন্দের সামগ্রীর খোজে হয়রান হচ্ছে সেই সাথে মুল্য কমানোর প্রতিযোগিতা ও থেমে নেই। জেলা শহরের পাশাপাশি উপজেলা ভিত্তিক মফস্বলের মোকাম গুলোতেও ঈদ কেনাকাটা শুরু হয়েছে। গতকাল শহরের বিভিন্ন বিপনি কেন্দ্র গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে সাধ এবং সাধ্যের ব্যবধান কম নয় এবারের ঈদ বাজারে তৈরী পোশাক, স্যান্ডেল, পাঞ্জাবী, মহিলাদের থ্রি পিচ সবই মূল্য বৃদ্ধির ঝাজে জর্জরিত। তার পরও ঈদ বলে কথা সকলের গন্তব্য কেনা কাটায়। কেউবা কম দামের আবার কেউ কেউ আকর্ষনীয় মূল্যবান পোশাক সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন