ডার্ক মোড
Thursday, 13 March 2025
ePaper   
Logo
রাজশাহীতে অটোরিকশায় যৌন হয়রানি: সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় ডিবি পুলিশ কর্তৃক অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

রাজশাহীতে অটোরিকশায় যৌন হয়রানি: সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় ডিবি পুলিশ কর্তৃক অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহী মহানগরীতে অটোরিকশায় নারী যাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গ্রেপ্তারকৃত হলেন মো: মাসুদ রানা (৪৭)। সে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার কেশবপুর দক্ষিনপাড়ার মৃত আমির আলীর ছেলে।

বুধবার (১২ মার্চ ২০২৫) দুপুর ১২:৩০ টায় আরএমপি সদর দপ্তর কনফারেন্স রুমে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বিকেল সাড়ে ৩ টায় রাজশাহী শহরের বন্ধ গেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী অটোরিকশায় বাসায় ফেরার পথে যৌন হয়রানির শিকার হন। অটোরিকশায় তার সামনে বসা এক পুরুষ যাত্রী অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে তাকে হয়রানি করে এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী ছাত্রী দ্রুত ঘটনাটি তার মোবাইল ফোনে কৌশলে ভিডিও ধারণ করেন। পরে অপ্রীতিকর এ ঘটনা সহ্য করতে না পেরে তিনি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে প্রতিবাদ জানান।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পোস্টটি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের নজরে আসে। এরপর তিনি আসামির নাম-ঠিকানা শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে। সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম-ঠিকানা শনাক্ত করে আরএমপি ডিবির কাছে তথ্য পাঠায়।

উক্ত তথ্যে ভিত্তিতে ডিবি টিম অভিযুক্তের নিজ বাড়িতে (কেশবপুর দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদের পার্শ্বে) অভিযান পরিচালনা করলে উত্তেজিত ছাত্রজনতা কর্তৃক মব সৃস্টি হয়। এসময় সে কৌশলে স্বপরিবারে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির একাধিক টিম সারা রাত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে অবশেষে আজ ১২ মার্চ ভোর ৫ টায় নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি এলাকা থেকে অভিযুক্ত মাসুদ রানাকে আটক করে। আটকের পর আসামি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পেনাল কোডে মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন