ডার্ক মোড
Wednesday, 12 March 2025
ePaper   
Logo
রাউজানে নিজ অফিসে হামলার শিকার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা

রাউজানে নিজ অফিসে হামলার শিকার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দীকা (৪২) উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

সোমবার বেলা ২টার দিকে রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে এ হামলা চালানো হয়।

হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দীকা। অভিযুক্ত সন্ত্রাসী হলেন শহিদুল ইসলাম ওরফে কালা শহীদ। সে রাউজান পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ বাড়ির প্রয়াত মাদুল ড্রাইভারের ছেলে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দীকা বলেন, ‘আমি রাউজানে জয়েন করার পর থেকে শহীদ নামে এক ব্যক্তি আমার অফিসে বার বার আসতেন।

বলতেন আমি অনেক ক্ষুদার্ত, আমাকে কাজ (প্রকল্প) দেন। তার চাওয়া টা এরকম যে, তাকে প্রকল্প দিলে তিনি স্টাবিলিশ হবেন। তাছাড়া কখনো কম্বল, কখনো প্রকল্প চাইতেন। উনি জনপ্রতিনিধি না হওয়ায় আমি প্রত্যাখান করে আসছি।

তাই ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে কয়েকবর হুমকি দিয়েছিল। শহীদ নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে বলে সে রাজনীতি করে, তার অস্ত্র আছে। আমি তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে কথা বলার জন্য বললেও তার দাবি, যে কোনো মূল্যে কাজ দিতে হবে।

অথচ সে লাইসেন্সধারী কোনো ঠিকাদার নয়। অফিস চলাকালীন বেহায়া মানুষের মতো আমাকে ডিস্টার্ব করতো। পরে আমি উর্ধ্বতন বিএনপি নেতা (বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে অবহিত করলে তিনি স্পষ্ট বলে দেন তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। মঙ্গলবার আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চেয়ার দিয়ে মাথায় আঘাতের চেষ্টা করলে আমি মাথা সেভ করি। আমার অফিসের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়। আমি চাই তার সরকারিভাবে কঠিন বিচার হোক। আমি ইতোমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার উপর হালমার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এজাহার দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, সরকারি দপ্তরে হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এই ব্যপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, শহীদের সঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন