ডার্ক মোড
Saturday, 06 July 2024
ePaper   
Logo
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে এই প্রথম ভোট দিচ্ছেন অভিবাসীরা

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে এই প্রথম ভোট দিচ্ছেন অভিবাসীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগামীকাল ৪ জুলাই পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে যুক্তরাজ্যে; আর এবারের নির্বাচনেই প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন অভিবাসীরা। অনেক অভিবাসীই এতে উচ্ছ্বসিত।

শিক্ষার্থী ভিসায় গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারত থেকে যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন প্রথেশ পালরাজ। ২৭ বছর বয়সী প্রথেশ রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি যে দেশ থেকে এসেছি, সেখানে বিদেশিদের ভোট দেওয়ার অনুমতি নেই….আমি এখানে এসেছি শিক্ষার্থী ভিসায়, কিন্তু যুক্তরাজ্যের সরকার আমাদের ব্রিটেনের নাগরিকদের মতোই ভোট দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আমি এতে উচ্ছ্বসিত।’

গত বছর মালয়েশিয়া থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন তেহ ওয়েন সুন। ৩৩ বছর বয়সী এই নারী থাকেন ইংল্যান্ডের স্যালফোর্ড শহরে। তিনিও ভোট দেবেন। রয়টার্সকে এই সুন জানান, নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টির মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য তিনি দেখতে পান না। তবে যে দল অভিবাসীদের প্রতি সহনশীল এবং উদার, সেই দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

বস্তুত, গত বেশ কয়েক বছর ধরে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অভিবাসী ইস্যুটি। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের স্রোত ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে কনজারভেটিভ পার্টি। তারপর ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এক্ষেত্রে দলটির উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য নেই।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কনজারভেটিভ দলের বর্তমান শীর্ষ নেতা ঋষি সুনাক অবশ্য সম্প্রতি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যেমন অভিবাসী আগমণ সংক্রান্ত বিধি কঠোর করা, অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানো প্রভৃতি। কিন্তু বাস্তবে এসব পদক্ষেপ কতখানি কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে খোদ কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেই।

বিভিন্ন বেসরকারি জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে জয়ের মধ্যে দিয়ে ১৫ বছর পর ফের ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে লেবার পার্টি।

নাইজেরিয়া থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় আসা ওইনকানসোলা দিরিসু (৩১) লেবার পার্টির সমর্থক। ম্যানচেস্টার শহরে বসবাসকারী এই নারীর বিশ্বাস লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে তারা অভিবাসীদের স্বার্থরক্ষায় বিভিন্ন নীতি নেবেন।

আবার একই দেশ থেকে আসা অপর অভিবাসী এস্থার ওফেম (২৬) মনে করেন, কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টির মধ্যে মতাদর্শকগতভাবে বিশেষ পার্থক্য তেমন নেই। তাই কনজারভেটিভ পার্টিকেই ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন