ডার্ক মোড
Saturday, 18 May 2024
ePaper   
Logo
মোড়েলগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খোঁজে দুদক

মোড়েলগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খোঁজে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেডিকেল সার্জিক্যাল রিকুইজিট (এমএসআর) সামগ্রী ক্রয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপর সংস্থাটির খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

অভিযোগে ডা. কামাল হোসেন মুফতির বিরুদ্ধে মেডিকেল সার্জিক্যাল রিকুইজিট (এমএসআর) সামগ্রী খাতে বরাদ্দ করা ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯৫ টাকা আত্মসাৎ করার সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। ডা. কামাল হোসেন মুফতি মেডিকেল অফিসার থেকে শুরু করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে প্রায় ১৭ বছর ধরে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছেন।

গত ২৭ অক্টোবর এমকে রতন নামের এক ব্যবসায়ী বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রতিকার ও বিচার দাবি করেন। যেখানে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যু ও স্থানীয়দের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে রতন গণমাধ্যমে বলেন, মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পথ্য, স্টেশনারি ও ধোলাই সরবরাহের জন্য সব শর্ত মেনে রতন দরপত্র দাখিল করেন। কিন্তু দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকা সত্ত্বেও নামধারী ঢাকার মেসার্স আরিয়া ট্রেডার্সকে কাজ দেন কামাল হোসেন মুফতি। যে প্রতিষ্ঠানের কোনো ঠিকানা নেই। ডা. কামাল হোসেন মুফতি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য কাল্পনিক ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়েছেন।

ওই অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে এমএসআর ক্রয়ের দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে এবং পেশাদার সরবরাহকারীদের বঞ্চিত করে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নুরুজ্জামান মেডিসিন হাউজকে কাজ দেন ওই চিকিৎসক। এই ক্ষেত্রেও নুরুজ্জামান মেডিসিন হাউজের শুধু নাম ব্যবহার করা হয়েছে। তার অনিয়মের সহযোগী কমিনিউটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. ফারুক হোসেনের নাম বলা হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে। তার বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর কারণে ফৌজদারি মামলাও হয়েছে বলে অভিযাগ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে ডা. কামাল হোসেন মুফতি গণমাধ্যমে বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকতে পারে। এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্তের অভিযোগের সত্যতা পেলে, যা হয় হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন