
মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি ভবনে থাকা গার্মেন্টস কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সব মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহগুলো গার্মেন্টস ভবন থেকে পাওয়া গিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নির্বাপনের কাজ চলছে।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামুন (৩৫), সোহেল (৩২) ও সুরুজ (৩০) নামের তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসাপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
দগ্ধ মামুনের স্বজন জোসনা জানান, মামুন ওই কারখানায় কাটিং মাস্টার হিসেবে এবং সোহেল ফিনিশিং সেকশনে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া সুরুজ অর্ডারকৃত পণ্যের গুণমান যাচাই করতে সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে শিয়ালবাড়িও ওই পোশাক কারখানা এবং একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
বিকেলে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তল্লাশি অভিযান এখনো চলমান। পাশের যে কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে, সেখানে এখনো আগুন জ্বলছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ওখানে কাউকে যেতে দিচ্ছি না। আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি দিয়ে, ড্রোন দিয়ে এসব কার্যক্রম করছি।’
আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো জানা যায়নি। যারা শুরুতে আগুন নেভাতে এসেছেন, তারা রাসায়নিকের গুদাম ও গার্মেন্টস দুই দিকেই আগুন দেখেছেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনতলা পোশাক কারখানার নিচতলায় ‘ওয়াশ ইউনিট’ রয়েছে। সেখানে প্রথম আগুন লাগে। সেই আগুন পাশের রাসায়নিকের গুদামে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন তিনতলা পোশাক কারখানার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।