
নির্বাচনে কোন দল এল, না এল তা দেখার দায়িত্ব সরকারের না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
নিজস্ব প্রতিবেদক
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেছেন, এই নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে, আর কোন দল করবে না, তা দেখার দায়িত্ব ‘সরকারের না’।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত এক সভায় অংশ নিয়ে তিনি কথা বলছিলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমরা একটা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন পেতে চাই, সেটা অঙ্গীকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। আমরা মানুষকে বলতে চাই, বাংলাদেশে একটা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার সমাজের সূচনা হবে একটা ভালো নির্বাচন দিয়ে। এ নির্বাচনে কোন পার্টি আসলো, না আসলো ওটা আমাদের দেখার ব্যাপার না, সেটা নির্বাচন কমিশন দেখবে আর পলিটিক্যাল চিন্তাভাবনা করেন তারা।
“তবে আমরা বদ্ধপরিকর একটা ভালো নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চাই, যারা নির্বাচিত হবেন। এটা সরকারে অঙ্গীকার, আমরা আশা করি আমরা এ অঙ্গীকারে থাকতে পারবো।”
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রণীত সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা পর্যালোচনায় এ সভা আয়োজন করে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি এবং রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমক্রেসি-আরএফইডি এ সভায় আয়োজন করে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, “আমরা সহায়তা করব, নির্বাচন কমিশন যেইভাবে যা সহায়তা চাবে সেভাবেই সরকারকে সহায়তা করতে হবে।”
তার কথায়, ২০০৮ সালের পর অনেক ভোটার ভোট দেওয়ার ‘সুযোাগ পাননি’।
তিনি বলেন, “অনেকের বয়স ত্রিশ গেছে কিন্তু তারা ভোট দিতে পারেনি। অনেক তরুণরা জানেন না ভোট কেন্দ্র কেমন। কারণ তারা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। এটা দুঃখজনক।
“আপনি মেজরিটি সংখ্যক ভোটারকে বাইরে রেখে আপনি দেশ পরিচালনার ব্যবস্থা করেছেন আর সেটাকে আমরা সবাই সহযোগিতা করেছি। শুধু ওই সময়ের সরকারকে দোষ দিয়ে তো হবে না, আমরা সবাই এদিক-ওদিক কথা বলেছি।”
সরকারের চাওয়া অনুযায়ী আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, “আমি কমিশনের ওপর আস্থা রাখছি।”
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সহয়তা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “যেখানে যতটুকু উদার করা যায়, আপনাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তা করা উচিত।”
নির্বাচন কমিশনার হিসাবে ৫ বছরের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা সাখাওয়াত সে সময় কমিশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের পরামর্শ নেওয়ার স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি নির্বাচনে সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা সম্পর্কে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরতে ইসির সঙ্গে আলোচনা করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির সভাপতি রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা নির্বাচনে সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবাধে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি এবং ভোটকক্ষের ভেতরে ১০ মিনিটের বেশি সময় অবস্থানের সুযোগ রেখে বিদ্যমান সাংবাদিক নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানান।