ডার্ক মোড
Monday, 06 May 2024
ePaper   
Logo
মাটি খেকোদের কারণে কোটি টাকার সড়ক হুমকির মুখে

মাটি খেকোদের কারণে কোটি টাকার সড়ক হুমকির মুখে

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জে মাটি খেকো দের কারনে কোটি টাকায় নির্মিত সড়ক হুমকিতে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বিজয়নগর গ্রামে অবৈধ মাটি বহনকারী মাহিন্দ্রা ট্রাক ও ভেকু চলাচল করায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন নির্মিত এলাকার পাকা রাস্তাটি ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে বাড়ছে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিজয়নগর গ্রামের একটি জমির মাটি ভরাটের কাজ করছে ওই গ্রামেরই সিরাজুল ইসলাম খোকন ও গৌরাঙ্গ রায় সহ মাটি কাটা চক্রের আরো কয়েকজনর সদস্য। প্রতিদিন রাত ১০ টার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ টি মাটি বহনকারী মাহিন্দ্রা ট্রাক ও ১ টি ভেকু দিয়ে চলে এই মাটি কাটার কার্যক্রম।

এতে করে ট্রাকের বড় বড় চাকা প্রতিনিয়ত পাকা রাস্তায় চলাচল করায় পিচ ও পাথর গুঁড়ো হয়ে ধুলোবালিতে পরিণত হচ্ছে। পরে সেগুলোই উড়ে বায়ুর সাথে মিশ্রিত হশে পথচারীদের দূর্ভোগের কারন হচ্ছে । যার ফলে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। এছাড়া মাটি বহনকারী গাড়ি থেকে কাদামাটি পাকা রাস্তায় পড়ছে ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

মাটিখেকোদের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে এলাকার অনেকে সরাসরি মুখ খোলার সাহস না পেলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, প্রতিদিন রাতেই এরা মাটি কেটে যাচ্ছে। সারারাত এরা মাটি কাটে। এদের মাটি কাটা ও গাড়ির বিকট শব্দে আমরা রাতে ঘুমাতেই পারিনা। এদেরকে তো মানা করলেও শুনে না। এলাকার মানুষ হয়ে এরা এলাকার রাস্তারই ক্ষতি করছে, এটা তো মানা যায়না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, প্রতি রাতেই শত শত ট্রাক মাটি বহন করা হচ্ছে রাস্তা দিয়ে। এসব গাড়ি আমাদের নতুন পাকা রাস্তা নষ্ট করে ফেলতেছে। গাড়ি থেকে মাটি পড়ে রাস্তার ওপর উঁচু হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। এছাড়াও গাড়ি থেকে পরা মাটি ও কাদার কারণে মানুষ ও গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। তাই উপজেলা প্রশাসনের কাছে এর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

মাটি কাটা চক্রের সদস্য সিরাজুল ইসলাম খোকনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মাটির সাইটের সাথে জড়িত না। আগে ছিলাম, এখন নাই। আগে ছিলাম এজন্য অনেকে মনে করে আমিও জড়িত আছি। আনিস ভাইসহ কয়েকজন জড়িত। ওটা একটা মজা পুকুর কাটা হচ্ছে।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না, এখনই জানলাম। তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন