ভেদরগঞ্জে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আড়ালে চলছে মাদক ব্যবসা
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আড়ালে চলছে রমরমা মাদক সেবন ও বিক্রি। এসব মাদকের খদ্দের অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিদিন মাদক ব্যবসা দেখাশোনা করেন রেস্টুরেন্টটির ম্যানেজার খোকন খান।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের বাবুল খানের দিঘির ওপর নির্মিত ভাসমান খান রেস্তোরাঁয় এমন চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খান রেস্টুরেন্টের অধিকাংশ কাস্টমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর-কিশোরীগণ। একদিকে এসব কিশোর-কিশোরী রেস্টুরেন্টে খাওয়ার নামে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে সন্ধ্যা হলেই একদল কিশোর মাদক সেবনে বুঁদ হয়। রেস্টুরেন্টটির দুই প্রান্তে গড়ে ওঠা ছোট ছোট ঘরসমূহ সন্ধ্যা হলেই মাদকের আস্তানায় রূপ নেয়। এসব ছোট ছোট ঘরে মাদক সরবারহ করা হয় ভাসমান রেস্তোরাঁটি থেকে৷ মাদক সরবরাহ ও সেবনে সহযোগিতা করেন রেস্তোরাঁটির ম্যানেজার খোকন খান।
মাদক সেবনে সুবিধার জন্য ছোট ছোট ঘরগুলোর বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধও রাখা হয় রেস্তোরাঁ থেকে। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিকে কেন্দ্র করে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের হিরিক পড়েছে রেস্তোরাঁটিতে। এতে নতুন প্রজন্ম তাদের ভবিষ্যতকে নষ্ট করছেন। রেস্তোরাঁটির মালিক পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা সরাসরি প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
তবে গোপন ক্যামেরায় স্থানীয়রা জানান, এই রেস্টুরেন্টের আড়ালে চলছে মাদক সেবন ও বেচাকেনা। মাদকাসক্ত হয়ে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের প্রান্তে পৌঁছে গেছে। তারা মাদকাসক্ত হয়ে নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে সমাজে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত এই মাদকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে এই সমাজ খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে থেকে মাদকদ্রব্য ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাও অপরিসীম।
এবিষয়ে রেস্টুরেন্টেটির ম্যানেজার খোকন খান বলেন, এখানে কি হয় আর না হয় সবকিছু প্রশাসন জানে। আপনার কাজ নিউজ করা, আপনি নিউজ করেন। এখানে মাদক সেবন ও বেচাকেনা এটা দেখার দায়িত্ব আপনার না। এখানে মাদক সেবন ও বেচাকেনা হলে প্রশাসন দেখবে। তবে মাদকের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আছে এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে গিয়ে স্থান ত্যাগ করে চলে যান।
এব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (ভেদরগঞ্জ সার্কেল) মুশফিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স।