বেতাগীতে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে মারধর
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগীতে জমি নিয়ে বিরোধের কারণে এক নারীকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালি এলাকায় শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
আহত নারী রানু বেগম ওই এলাকার মানিক শিকদারেরে স্ত্রী। ভাশুরেরা তার প্রথম পক্ষের স্বামীর জায়গার গাছ কেটে বিক্রি করায় তিনি এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের হামলায় আহত হন তিনি।
রানু বেগমের ভাশুর শাহ আলম, মনা ও বিবিচিনি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই নারী।
রানু বেগম জানান, তার প্রথম স্বামীর নাম মো: কবির শিকদার। এই সংসারে তার ৬ ছেলে মেয়ে। করোনাকালীন সময়ে তিনি মারা গেলে রানু বেগম কামাল শরীফ নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। সেই সংসারে তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে কামাল শরীফ তার খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দিলে রানু বেগম তার প্রধম স্বামীর চাচাতো ভাই মানিক শিকদারকে বিয়ে করেন। বর্তমান সংসারে তার এক ছেলে রয়েছে।
গত সপ্তাহে তার প্রথম স্বামীর জমিতে রোপণ করা গাছ তার স্বামীর সৎ ভাই শাহ আলম এবং মনা কেটে বিক্রি করেন। ঘটনার দিন রানু বেগম তার প্রথম সংসারের সন্তানদের নিয়ে শাহ আলম এবং মনার কাছে তার প্রথম স্বামীর জায়গার গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে তাঁদের মধ্যে বাকবিতান্ডার সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনসহ স্থানীয় কিছু লোকজনকে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। এরপর তারা সবাই মিলে তাকে মারধর করে। মারধরে তার কপাল ফেটে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সে উদ্ধার হয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ফারুক আহমেদের কাছে আসেন। ইউএনও তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ নিয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম এবং বিবিচিনি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ফারুক আহমেদের বলেন, শুক্রবার দুপুরে আহত অবস্থায় এক নারী আমার কাছে আসে। আমি তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেই এবং আর্থিক সহায়তা করি। চিকিৎসা শেষে তাকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেই।