ডার্ক মোড
Saturday, 04 May 2024
ePaper   
Logo
বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি বেসরকারিখাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং: ঢাকা চেম্বারের সভাপতি

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি বেসরকারিখাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং: ঢাকা চেম্বারের সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং বিপর্যস্ত সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থার অবনতি হওয়ার বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জসমূহের মধ্যে আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, প্রাথমিক জ্বালানি সংকট, যেহেতু আমাদের প্রাথমিক জ্বালানির উৎস মূলত আমদানি নির্ভর। সম্প্রতি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, যদিও তা তুলনামূলকভাবে কম, তবে সার্বিকভাবে বেসরকারিখাতে এবং বিদ্যুৎ নির্ভর শিল্প কারখানাসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচলনায় অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা হিসেবে বিবেচিত হবে। এমনিতেই দেশের বেসরকারিখাত উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং টাকার অবমূল্যায়নসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে ইতোমধ্যেই প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্থিরতার কারণে সরকারকে এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, তবে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার আশা করেন যে, সরকার স্থানীয় শিল্প এবং বেসরকারিখাতের উপর যেন বেশি মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের মূল্য যৌক্তিকভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে পরবর্তীতেও কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যেহেতু এটা দৃশ্যমান যে, বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসেই জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করার পরিকল্পনা করছে এবং সেই সংক্রান্ত একটি কৌশল নির্ধারণের কাজ চলছে, তাই ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সরকারের নিকট আহ্বান করেন যে, সরকার যেন বিদ্যুতের মূল্য সহনশীলভাবে এবং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করে, যাতে বেসরকারিখাত অপ্রত্যাশিত বর্ধিত ব্যয়ের বোঝা এড়াতে পারে।

ব্যারিস্টার সাত্তার মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্য বৃদ্ধির হয়তো কোন বিকল্প নেই, তবুও সরকারের একটি অনুমানযোগ্য মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে এ ধরনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারিখাত আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণসহ তাদের ব্যবসা পরিচালনায় কৌশলী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। যদিও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, তবে চলমান পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে সরকার যেন পুনরায় এই বর্ধিত মূল্য হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিষয়টি কোনভাবেই একমুখী হওয়া উচিত হবে না।

যেহেতু, বাংলাদেশ জ্বালানি আমদানির উপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল, এমতাবস্থায় নবায়নযোগ্য ও বিকল্প জ্বালানির উৎস খুঁজে বের করতে এবং একইসাথে স্থানীয়ভাবে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে প্রাধান্য দিতে সামীর সাত্তার সরকারের নিকট আহ্বান জানাচ্ছেন। বিদ্যুৎ খাতে স্বল্পতার সংকট মোকাবেলায় সরকারকে নিয়মিতভাবে সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা যাচাই করা এবং সিস্টেম লসকে হ্রাস করার উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মনে করেন, শিল্প ও বিনিয়োগ খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা ধরে রাখতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন