ডার্ক মোড
Monday, 13 May 2024
ePaper   
Logo
বাঘায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

বাঘায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বইছে তীব্র তাপদাহ ও খরা। তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবন সহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে গরম হাওয়া উঠছে। বাঘায় উপজেলায় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছেন।

প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে।রোদ থেকে বাঁচতে মোটা কাপড় পরিধান করছে। কেউ কেউ রোদে চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছে। স্বস্থি পেতে বার বার পানি পান করতে হচ্ছে। গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সুখবর কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় দেশের বিভিন্ন উপজেলায় রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ আব্দুর রশিদ আড়ানী কেন্দ্রীয় জামেমসজিদের ইমাম এবং কাসেমুল উমুল ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষক। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন বাঘা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।

এছাড়া অন্যান্য উপজেলার শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। ইসতিসকা শব্দের অর্থ পানি বা বৃষ্টি প্রার্থনা করা। সালাতুল ইসতিসকা অর্থ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ। শারিয়তের পরিভাষায় অনাবৃষ্টির সময় আল্লাহর রাসুলের সুন্নত অনুসরন করে খোলা প্রান্তরে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করাকে সালাতুল ইসতিসকা বা ইসতিসকার নামাজ বলা হয়।

নামাজে অংশ নেওয়া আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আকবর হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে বাঘা উপজেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বইছে। অসহ্য গরমে জনজীবন হাসফাস অবস্থা। কোথায় গিয়ে স্বস্থি মিলছে না। শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ইসতিসকা নামাজে অংশ নিয়েছি। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ জমিন শীতল করে দিবেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সকলকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন