বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দাবিতে টাইমস স্কোয়ারে বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্র ব্যুরো
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে শ্রী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভ’সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রত্যাহার দাবিতে ৯ নভেম্বর অপরাহ্নে নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কোয়ারে এক বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়। ‘ইউনাইটেড হিন্দুজ ইন ইউএসএ’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভের সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন সংগঠনের সেক্রেটারি রামদাস ঘরামি।
‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গিকারে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত প্রফেসর ইউনূস ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। এহেন অবস্থাকে মেনে নেয়া যায় না’ বলে মন্তব্য করেন বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তারা। সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. প্রভাত দাস আরো বলেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
এখোন রুখে দাঁড়ানোর পালা। সকল প্রবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান রাখছি নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষায় জোরদার লবিংয়ের জন্যে। এ সময় আরো বক্তব্য দেন রূপকুমার ভৌমিক, শিতাংশু গুহ, ভজন সরকার প্রমুখ। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে আরো বক্তব্য দেন মানবাধিকার সংগঠক প্রিয়া সাহা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায় তথা সংখ্যালঘুদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রে বরাবরের মতোই মদদ রয়েছে ক্ষমতাসীনদের। ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে শ্রী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভ’ বলেন, বাংলাদেশের হিন্দুরা ৫৩ বছর ধরেই নির্যাতিত হচ্ছি। এবার আশা করেছিলাম প্রতিকার পাবো।
কিন্তু চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর আচরণ এতটাই নৃশংস যে তা একাত্তরের দু:সহ স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। এহেন আচরণে হিন্দুদেরকে দেশত্যাগে বাধ্য করার মত পরিস্থিতি তৈরী করা হচ্ছে। চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভূ আরো বলেন, বাংলাদেশের ৭০ থেকে ৮০ লাখ হিন্দু ভারতে আশ্রয় নিয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে দাবি করা হলেও এদেরকে ফিরিয়ে আনার কোন ব্যবস্থা কেউই করেনি। এটাই সকলের জন্যে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। তিনি বলেন, অত্যাচার-নির্যাতনে কেউ হতাশ হবেন না। আন্দোলন চালিয়ে যান-অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় আন্দোলনের বিকল্প নেই।
টানা দু’ঘন্টার এ সমাবেশের প্রতি কৌতুহলী দৃষ্টি প্রসারিত করেছিল বিভিন্ন দেশের ট্যুরিস্টরা। সকলেই জানতে চান বাংলাদেশের পরিস্থিতি।