ফেনীতে কমিউনিটি সেন্টারের মালামাল লুটের অভিযোগে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
ফেনী প্রতিনিধি
পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ভোরবাজারে আলেয়া কমিউনিটি সেন্টারের হামলা-ভাংচুর ও মালামাল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।উক্ত ঘটনায় মৃত আবুল বশর প্রকাশ পুলিশ বশরের স্ত্রী আলেয়া বেগম বাদি হয়ে পশ্চিম গ্রামের মুসলিম উদ্দিন (৫৫) ও মাঈন উদ্দিন (৩০) সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।সোমবার শুনানি শেষে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালতের বিচারক মামলাটি (এফসিআর ২৫/২০২৫) আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, বাদীনি দক্ষিণ ফরহাদ নগর ভোর বাজারস্থ তাহার মালিকীয় জায়গায় আলেয়া কমিউনিটি সেন্টার নামাকরণে আলেয়া কমিউনিটি সেন্টারটি পরবর্তীতে বাদীনির পুত্রের দ্বারা আছমা ডেকোরেটর নাম স্থাপন করিয়া তাহার ২ ছেলের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করিয়া আসিতেছে।পরবর্তীতে বাদীনির ২ ছেলে প্রবাসে চলিয়া যাওয়ায় উপরোক্ত কমিউনিটি সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রাখে।
ফলে বর্তমানে বাদীনি তাহার পরিবার নিয়া ফেনী শহরে বসবাস করে আসছে। এ সুযোগে বিগত ৩ জানুয়ারি গত শুক্রবার রাত আনুমানিক ১ ঘটিকার সময় ১ ও ২নং আসামীর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আলেয়া কমিউনিটি সেন্টারের পিছনের অংশে পাকের ঘর ভাংচুর করিয়া ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এসময় আসামীগণ ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে কমিউনিটি সেন্টারের গোডাউনে রক্ষিত ২০০ টি প্লাস্টিকের চেয়ার যার মূল্য ১ লাখ টাকা, কাঠের টেবিল ৫০ টি যার মূল্য ১ লাখ টাকা, লোহার টেবিল স্টেন ৫০ টি যার মূল্য ১ লাখ টাকা, ডেকোরেশনের কাপড় যার আনুমানিক মূল্য ৯০ হাজার টাকা, এলোমিনিয়ামের বড় পাতিল ৫০ টি যার আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা, কাচের প্লেট ৪০০ পিছ যার মূল্য ৪০ হাজার টাকা, বড় সিলিং ফ্যান ১৬ টি যার মুল্য ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, বিভিন্ন প্রকারের বাটি ও চামুচ যার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা, ওয়াল ফ্যান ১৮টি যার মূল্য ৯০ হাজার টাকা, এল.ই.ডি লাইট ২৬ টি যার মূল্য ১০ হাজার টাকা, পানির মোটর ১টি যার মূল্য ১২ হাজার টাকা, ঘরের টিন ও গাছ যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ টাকাসহ মোট ৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকার মালামাল ডাকাতি করে পিকআপ গাড়ী যোগে বাজারের উত্তর দিকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়া যায়।এসময় স্থানীয় লোকজন দেখতে পেলেও ভয়ে প্রতিবাদ করেনি। পরে বাদীনি লোক মারফত জানতে পেরে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত অবগত হন।
এ ব্যাপারে বাদীনি পক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন ভুইয়া জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন।